ছোট্ট গ্রামটির নাম দাঁড়পাড়া। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত গঙ্গামটিতে সম্প্রতি সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে দিনভর সচেতনতা বৃদ্ধি, মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে কুষ্টিয়া বন্ধুসভা।
‘আমাদের দায়িত্ববোধ,ডেঙ্গু করি প্রতিরোধ’ স্লোগানে মঙ্গলবার সারা দিন মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান, কুষ্টিয়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা এবং কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এএমএম মুসা কবির।
বন্ধুদের মধ্যে সভাপতি মাহের মোহাম্মদ নাঈমসহ রজনী চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ, পিয়াস, ঝর্না, রুমা, সরণী, সৈকত, নাজমুল ও সোহেল অভিযানে অংশ নেন।
গ্রামের বাসিন্দারা জানালেন, সেখানে বাস করা ৭৪ পরিবারের মধ্যে ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দাঁড়পাড়া গ্রামে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দাঁড়পাড়ায় ১৪ নম্বর ছাতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতা কেন্দ্রে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে প্যারাসিটামল, সিভিট, শিশুদের সিরাপসহ অনান্য ওষুধ বিতরণ করা হয়।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। আক্রান্ত রোগীদের বাড়ির আশপাশে ফগার যন্ত্রের সাহায্যে ওষুধ দেওয়া হয়। যেসব স্থানে পানি জমে থাকে এবং স্যাঁতসেঁতে, সেসব স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়। মশার আবাসস্থল এবং প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা হয় ।
দাঁড়াপাড়া হয়ে নজিবপুর ও বড়গাংদিয়া গ্রাম পর্যন্ত চলে সচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এ সময় গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এএসএম মুসা কবির, প্রথম আলোর প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।
চিকিৎসক এএসএম মুসা কবির বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হই, তাহলে ডেঙ্গু সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। অন্যকে সচেতন করতে হলে আগে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। একমাত্র সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু নির্মূল করতে। এ জন্য সবাইকে নিজের দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বন্ধুসভার সদস্যরা কুষ্টিয়া আসার পথেও কয়েকটি গ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধবিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
প্রচার সম্পাদক, কুষ্টিয়া বন্ধুসভা