বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার উদ্যোগে ১১ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরে বৃষ্টিমুখর পরিবেশে প্রতি সপ্তাহের মতো অনুষ্ঠিত হলো সংসদীয় বিতর্কের সেশন। যুক্তিই মুক্তি, যুক্তির আলোয় অন্ধকারকে ধ্বংস করে আলোকিত করে তোলো নিজেকে মুক্তির ছোঁয়ায়, এই বিশ্বাস থেকে রাবি বন্ধুসভা সব সময় বিতর্কতে সোচ্চার ও অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিতর্কের টপিক ছিল: এই সংসদ প্লেটোনিক ভালোবাসায় বিশ্বাস করে না। যথাযথ সরকারি ও বিরোধী দলের অকপট বক্তব্য, বর্তমানে যুগে ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ, বিশ্বাস, দায়বদ্ধতা, আবেগ, উদ্দেশ্য প্রতিটি বিষয় চমকপ্রদভাবে সবার মধ্য ফুটে ওঠে। স্পিকারের ভূমিকায় ছিলেন বন্ধুসভার দুই বন্ধু বিতার্কিক সিফাত হোসেন ও শাদমান নিলয়।

মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক শাদমান সাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক তারিফ হাসান, ত্রাণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সাহিত্য সম্পাদক ইমরান আজিম, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল, যোগাযোগ সম্পাদক তাসনীম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদম শাহরিয়ার, বিনীতা বিশ্বাস, আহসান হাবিব, ফাহমিদা আফরোজ, মীনা আক্তার, নয়ন চন্দ্র দাস, আল আমিনসহ আরও অনেকেই।

উপস্থিত সবার আলোচনায় বিতর্কটির চাঞ্চল্য প্রেক্ষাপট, অভ্যন্তরীণ বাস্তবতা, ভালোবাসার স্বার্থের মধ্যকার বিস্তর ব্যবধান, ভাষা বিচারসহ বিভিন্ন বিশ্লেষণীয় দিক উঠে আসে। ৪০ মিনিট সুস্পষ্ট সাবলীল এ বিতর্কটি চলার পর ২-০ ব্যালটে সংসদে প্রস্তাবটি পাসের মাধ্যমে সরকারি দল জয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে দুজনকে ঘোষণা করে সরকারদলীয় প্রধানমন্ত্রী বিনীতা বিশ্বাস এবং বিরোধীদলীয় নেতা নয়ন চন্দ্র দাস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পক্ষ থেকে তাঁদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়। এবং সামনে বন্ধুসভার পক্ষ থেকেই সেপ্টেম্বর মাসের শেষে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে, এটিও বিশেষভাবে উপস্থিত সবার মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা