পূজার শেষে আড্ডা

পূজার শেষে আড্ডা।
পূজার শেষে আড্ডা।


শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমীর দিন একসাথে পূজামণ্ডপ দেখতে বের হয়েছিলেন সিলেট বন্ধুসভার কয়েকজন সদস্য। গন্তব্য সিলেট সদর উপজেলার বিমানবন্দর সড়কসংলগ্ন চা-বাগানের পূজামণ্ডপগুলো। পূজামণ্ডপে ঘুরতে ঘুরতে একপর্যায়ে লাক্কাতুরা চা-বাগানের কাঁচা রাস্তা দিয়ে ঢুকে থ বনে যেতে হয়েছিল বন্ধুসভার সদস্যদের। আরে! এ যে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ আর আলী আমজাদের ঘড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সুরমা নদীপাড়ের এ দুটি ঐতিহ্যকে রেপ্লিকা বানিয়ে মণ্ডপের সাজসজ্জায় ব্যবহার করেছেন আয়োজকেরা। গ্রামীণ পরিবেশে ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় মণ্ডপ সেজেছে। আর সেটি মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবার মাঝে। সিলেট বন্ধুসভার শাহ সিকান্দার শাকির সেদিনের পূজামণ্ডপের সাজসজ্জায় মুগ্ধতার কথা এভাবেই গল্পে-আড্ডায় সবার সামনে বলছিলেন। তখন আড্ডায় উপস্থিত শাফায়াত হোসেন বলে উঠলেন, এ যেন আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার প্রকাশ। উৎসবের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা।
সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় প্রবেশমুখে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চলমান নারী নির্যাতনের চিত্র।

পূজার শেষে আড্ডা।
পূজার শেষে আড্ডা।


 চিত্রকর্মের সঙ্গে নারী নির্যাতন রোধে সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয় সম্পর্কে লেখা হয়েছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য সামাজিক অবক্ষয়কে কাপড়ের ওপর বসানো প্ল্যাকার্ডে তুলে ধরা হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী এই চিত্রকর্মের মাধ্যমে। হিন্দুধর্মীয় প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল একটি সংঘ। পূজামণ্ডপ দেখতে গিয়ে শিক্ষণীয় সেই দৃশ্য দেখে আসা বন্ধুসভার সদস্য তন্বী সূত্রধর গল্পে-আড্ডায় সবাইকে জানাল। এরপর একে একে সবাই পূজায় কাটানো নিজেদের মুহূর্তের কথা শুনিয়েছেন।
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শেষে ‘পূজার শেষে আড্ডা’ আয়োজন করেছিল সিলেট বন্ধুসভা। সেখানে বন্ধুসভার বন্ধুরা পূজায় কাটানো মুহুর্তের কথা সবার কাছে তুলে ধরেছেন। একেকজন একেক স্থানে পূজা উপভোগ করেছেন। কেউ গ্রামে আবার কেউ শহরে পূজার সময়টুকু কাটিয়েছেন। প্রত্যেকেই নিজেদের কাটানো মুহূর্তের কথা শুনিয়েছেন গল্পে-আড্ডায়৷ জানিয়েছেন শহরের পূজা আর গ্রামের পূজার মধ্যে মিল-অমিলের কথাও। পূজাকে ঘিরে আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির কথা। এরপর জাতীয় সমাবেশ নিয়ে বন্ধুদের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়। প্রস্তুতির জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। পূজার শেষে আড্ডায় সিলেট বন্ধুসভার সভাপতি শাহ সিকান্দার শাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরজিৎ রায়, বন্ধু কায়সার আহমেদ, অসমিত অভি, তামান্না ইসলাম, মেহরীন ঝুমু, মিহরাব আহমেদ চৌধুরী, তন্বী সূত্রধর, ইয়াহিয়া হোসেন, রাহিদুজ্জামান রাজীব, শিব্বির আহমদ নাছিম, শাফায়াত হোসেন, অন্তর শ্যাম, মনিরা আক্তার বন্যা, লাবাহ্ সুন্নাহ রহমান, সাবাহ্ সুন্নাহ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাধারণ সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা