স্বরশ্রুতির মানুষেরা মানুষের পাশে

স্বরশ্রুতির মানুষেরা মানুষের পাশে।
স্বরশ্রুতির মানুষেরা মানুষের পাশে।


শব্দের জন্য আমাদের ভালোবাসা। শব্দের শিল্পিত উচ্চারণে ভাবের হার্দিক প্রকাশ আমাদের প্রতীতি। বাংলা শব্দে প্রেম, বিরহ, দ্রোহ, রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, অভিমান, ঘৃণার পঙ্ক্তিমালা উচ্চারণে যূথবদ্ধ পথচলায় ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৯’এর পঞ্চম দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকার আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হলো ‘স্বরশ্রুতি’র আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’। প্রযোজনার মূল ভাষ্য ‘যে ঘটনা পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেওয়া যেত গুজরাটে, যে ঘটনা একদিনে চুপ করিয়ে দেওয়া যেত বামিয়ানে, কান্দাহারে, যে ঘটনা দুদিনে থামিয়ে দেওয়া যেত প্যালেস্টাইনে আমরা তা না করে যে যার নিজের ক্রুশকাঠ বহন করে চলেছি।...ভাই খুঁজে বেড়াচ্ছে ভাইকে। মা বসে আছে ভাত নিয়ে। ছেলে এই আসছি বলে বেরিয়েছিল। বাবা নদী ধরে হাঁটতে হাঁটতে গোধূলিতে শুনতে পেলেন পাখির ডাক। পাখির ডাক নাকি তাঁর পুড়ে যাওয়া বালক পুত্রের কণ্ঠ?’ ওই ভাইকে সম্মান জানাতে এই জমায়েত। ওই মাকে সম্মান জানাতে এই সন্ধ্যা। ওই বাবাকে সম্মান জানাতে এই আয়োজন ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’–এর গ্রন্থনা, নির্দেশনা, কোরিওগ্রাফ, পোশাক, মঞ্চ পরিকল্পনা ও সংগীত ভাবনায় মীর মাসরুর জামান রনি। সহযোগী নির্দেশনায় শাহ্ আলী জয়। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শামীম শেখ। পোশাক ব্যবস্থাপনায় ভারতী হালদার। সংগীতে আসাদুজ্জামান কিরণ। কৃতজ্ঞতা আহ্কাম উল্লাহ্।

স্বরশ্রুতির মানুষেরা মানুষের পাশে।
স্বরশ্রুতির মানুষেরা মানুষের পাশে।


পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন মো. আহ্কাম উল্লাহ্, মীর মাসরুর জামান রনি, আশরাফুল আলম রাসেল, সেগুফতা ফারাৎ সেঁজুতি, শাহ্ আলী জয়, জোবায়ের মিলন, জিনিয়া ফেরদৌস, রিয়াজ সেজান, বাপ্পী আখন্দসহ স্বরশ্রুতির মোট আটত্রিশজন সদস্য। ‘মানুষেরা মানুষের পাশে’ প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে; দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হয় ২০০৮ সালে পরীক্ষণ থিয়েটার হল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। তৃতীয় মঞ্চায়ন হলো ১৫ অক্টোবর।