খাগড়াছড়ি বন্ধুসভায় বৈঠক

খাগড়াছড়ি বন্ধুসভায় বৈঠক
খাগড়াছড়ি বন্ধুসভায় বৈঠক


বন্ধুসভার সাংগঠনিক সফরে আমার দায়িত্ব পড়ল পার্বত্য দুটি জেলায়—খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। কথা বললাম খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি জয়ন্তী দেওয়ানের সঙ্গে। এরপর একে একে খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার ২৫ জন বন্ধুর সঙ্গে কথা হলো। সবাই আমার সফরের উদ্দেশ্য শুনে বেশ খুশি হলেন। বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হলো ৩১ অক্টোবর।

খাগড়াছড়ি বন্ধুসভায় বৈঠক
খাগড়াছড়ি বন্ধুসভায় বৈঠক


অফিস থেকে চার দিনের ছুটি নিয়ে ৩০ অক্টোবর রাতে ছুটলাম খাগড়াছড়ির পথে। উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড় ভেদ করে ৩১ অক্টোবর সকালে খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছে হোটেলে উঠলাম।
কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম শহর ঘুরতে। প্রতি বৃহস্পতিবার সদরে হাট বসে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে ফলমূল, শাকসবজি, শুঁটকি মাছ নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। ভাগ্যক্রমে আমি অপরিচিত বিভিন্ন প্রকার শাক ও সবজি ও ফলমূলের দেখা পেলাম, ছবি তুললাম। আনারস ও কমলা কিনে আবার হোটেলে ফিরলাম। সন্ধ্যা হলো।

এরই মধ্যে খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার সভাপতি প্রভাত তালুকদারের কল পেলাম। তিনি হোটেলে এলেন। আমাকে মিটিংস্থলে নিয়ে গেলেন। সদর উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠক শুরু হলো। বিগত দিনের বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করলেন তিনি।

বন্ধুরা আবেদন করেন কেন্দ্রের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার। একই সঙ্গে দূরের বন্ধুদের বিভিন্ন কার্যক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করার। আলোচনা হয় লেখালেখি, ছবি ও সংবাদ পাঠানোর বিষয়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন বন্ধুসভার প্রতিভাবান বন্ধুকে নিয়ে বন্ধুসভার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার বিষয়েও আলোচনা হয়। দূরের জেলাগুলো থেকে কীভাবে বন্ধুদের এ লাইভ কার্যক্রমে যুক্ত করা যেতে পারে, সে বিষয়ে মতামত দেন বন্ধুরা।

বন্ধুদের বিভিন্ন ধরনের আপ্যায়ন ও আলোচনা চলে রাত পর্যন্ত। আয়োজন বাড়তে থাকে, আলোচনা নিয়ে এগিয়ে যান খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার সহসভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাফিল খন্দকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদ, শাহাজ উদ্দিন, মনজুরুল আলম, মাইন উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসাইন, আমিনুল ইসলাম, আবদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ইরফানুল বাহার। একসময় কর্মব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি ভর করে সবার মনে। প্রিয় মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দী করে বিদায় নেন সবাই।