রসের হাঁড়ির খোঁজে কুষ্টিয়ার বন্ধুরা

রসের হাঁড়ির খোঁজে কুষ্টিয়ার বন্ধুরা
রসের হাঁড়ির খোঁজে কুষ্টিয়ার বন্ধুরা


ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৬টা বেজে ৩০ মিনিট। পুব আকাশে সূর্য মামা উদিত হওয়ার আগেই কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে জড়ো হন বন্ধুরা। এরা কেউই সকালবেলার পাখি নন। কিন্তু সকলেই নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। কারণ, তাঁদের যেতে হবে শীতের সকালের রসে ভরা হাঁড়ির সন্ধানে।

কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সভাপতি মাহের মোহাম্মদ নাঈমের ডাকে সাড়া দিয়ে পূর্বনির্ধারিত স্থান মিনাপাড়ার উদ্দেশে ইজিবাইকযোগে রওনা দেন বন্ধুরা। কুষ্টিয়া শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পথ। সহজেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যান বন্ধুরা। বন্ধুদের সঙ্গে রস খাওয়ায় যুক্ত হয়েছিলেন প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

শিশির ভেজা মাটির রাস্তা। কিছুদূর হাঁটার পর গুলবার আলীর রসের হাঁড়ি সাজানো ছোট্ট কুঁড়েঘর। পাশে চলছে রস জ্বালিয়ে পাটালি গুড় তৈরির কার্যক্রম। একপাশে মাঠির পাত্র থেকে রস খাচ্ছেন খেজুরের রসের খোঁজে আসা রসপিপাসুরা। শীতের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে এই রসের সন্ধানে যাঁরা এসেছেন, শুধু তাঁরাই এর সৌন্দর্য অনুভব করতে পারবেন।

শীত লাগছে লাগুক না, তবুও রস খাওয়ায় কোনো বিরাম নেই। এক গ্লাস, দুই গ্লাস খাওয়ার পরপরই শরীর কাঁপতে থাকে। রসের সঙ্গে মুড়ি মিশিয়ে মুখে তুলে চুমুক দেওয়া কিংবা রোদ পোহানোর যে আনন্দ, তা ছড়িয়ে পড়ল সবার মধ্যে।

বন্ধুসভার বন্ধুদের মধ্যে যেন গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্যের চিত্র ফুটে উঠেছিল। সবাই খেজুরের রস পান করতে যেন উদগ্রীব ছিলেন। তৃপ্তিসহকারে রস পান করা আর সঙ্গে তৌহিদী হাসান ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের ক্লিকবাজিতে সেই মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমবন্দী করতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন সবাই।

কুষ্টিয়া বন্ধুসভা