ভৈরব বন্ধুসভার নাটক 'চন্দ্রাবতী' মঞ্চায়ন

ভৈরব বন্ধুসভার নাটক ‘চন্দ্রাবতী` মঞ্চায়ন।
ভৈরব বন্ধুসভার নাটক ‘চন্দ্রাবতী` মঞ্চায়ন।


ভাটি অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতির অমূল্য গ্রন্থ মৈয়মনসিংহ গীতিকার অন্যতম পালা চন্দ্রাবতী। বাংলাদেশের আদি নারী কবি চন্দ্রাবতীর শৈশব, প্রেম, প্রেমবিয়োগ ও কাব্য রচনার প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত পালাটির নাট্যরূপ মঞ্চে নিয়ে আসে ভৈরব বন্ধুসভা।
ভৈরবে হয়ে যাওয়া দশ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা মঞ্চে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। মঞ্চায়ন হয় ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে। পালাটির মূল রচয়িতা নয়ন চাঁদ ঘোষ।
ভৈরব বন্ধুসভার পরিবেশিত চন্দ্রাবতী নাটকের নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া হামিদ। নির্দেশনা উপদেষ্টা ছিলেন প্রথম আলোর ভৈরব জেলার প্রতিবেদক সুমন মোল্লা।

সূচনা বক্তব্যে সুমন মোল্লা বলেন, গেল বছর মৈয়মনসিংহ গীতিকার আরেক ভালোবাসার পালা মহুয়া নিয়ে আসে বন্ধুসভা। গীতিনাট্যের ঢঙ্গে মঞ্চস্থ ওই নাটক ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। ওই গীতিনাট্যের সাফল্যের পর মূলত চন্দ্রাবতী নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। দুটি নাটকের প্রেক্ষাপটেই আমাদের অঞ্চলের মানুষের প্রাণের স্পন্দন অনুভব করা যায়।

চন্দ্রাবতী চরিত্রে অভিনয় করেন বন্ধুসভার প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক সানজিদা সিদ্দিকা। নায়ক জয়ানন্দের ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রচার সম্পাদক সৌরভ। কমলা সুন্দরীর চরিত্রে ছিলেন ফ্রমি হক। অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন রিফাত, মানিক, জান্নাতুল মিশু, রাসেল রাজ, অর্ণব দাস, বিশাল, তুষী, প্রীতি, জিহাদ, তামীম ও দিপা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ফখরুল আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মারুফ ও বইমেলা পরিষদের সভাপতি আতিক আহমেদ।
চন্দ্রাবতী পরিবেশনার জন্য সমাপনী দিনে ভৈরব বন্ধুসভাকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বই পুরস্কার দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।