আমার তুমি


খুব ছোট ছোট চাওয়া তার। একটু খেয়াল রাখা, অভিমান ভাঙানো, আর অনেকগুলো ভালোবাসা। 
বৃষ্টি এলে সে বাচ্চাদের মতো আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠে। তার এই শিশুসুলভ আচরণ আমার মনে মোহনীয় সুখ নিয়ে আসে।
বৃষ্টিতে ভেজার জন্য তার আবেগী চোখে অনুমতি পাওয়ার ভাষা। সে মাথা কাত করে আস্তে করে বলে,
‘নাহিদ, ভিজতে যাই?’
-নাহ, ঠান্ডা লাগবে।
-উহু, লাগবে না, যাই... প্লিজ...।
-যখন আমরা একসাথে ভিজতে পারব, তখন যেয়ো।
উত্তর শুনে প্রেয়সী রাগ করে৷ ঠোঁট দুটো বাঁকিয়ে এমন করে তাকায় যেন এক্ষুনি কেঁদে দেবে। তখন ভাবি, একটু কাঁদুক না হয় আমার জন্য৷ তার চোখের জলকে আলাদা করব, বৃষ্টিধারার থেকে। কাছে গিয়ে জল মুছে দিয়ে বলব, ‘চলো, ভিজি।’

আবার সেই মায়াবী হাসিটা হাসবে প্রেয়সী। আমি তাকিয়ে থাকব তার চোখের দিকে অপলকে৷
‘এই কী দেখো।’
-‘সৃষ্টিকর্তার রহস্যময় অপরূপ সৌন্দর্যকে।’
-‘রহস্যময় কেন?’
-‘এই সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে কবিরা লিখেছেন শত কবিতা, গীতিকার লিখেছেন হাজারো গান। সম্রাট শাহজাহান বানালেন তাজমহল...আর...
-‘হয়েছে মিস্টার সাহিত্যিক, এবার থামেন। সবকিছুতে শুধু সাহিত্য নিয়ে আসে।’
-‘রাগ করলে প্রেয়সী?’
-‘জানি না।’
- ‘দেখি তো...’
-‘এই খবরদার, গাল ধরবা না।’
‘ধরবোই তোমার ওই টোল পড়া গাল,
টেনে টেনে করে দেব লাল।’
সে পালাতে চাইবে। তখন আমার বাহুবন্ধনের মায়ায় তাকে জড়িয়ে নেব, আর বলব,
‘এতটাই মায়ায় জড়িয়েছ তুমি আমায়,
তাই এতটাই ভালোবাসি আমি তোমায়।’

ভৈরব বন্ধুসভা।