স্বাধীনতার স্বাদ

বেণি দুলানো কিশোরীর পথ রুদ্ধ করে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল
তরুণীর অবাধ হাসিকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা।
কিশোরী-তরুণীর বিসর্জিত সম্মানের মূল্যই এ স্বাধীনতা।
প্রিয় স্বাধীনতা: আমার মায়ের মর্যাদা বিসর্জনে অর্জিত।
গোলাবারুদের গন্ধ গায়ে মেখে কোটি যুবক ভুলেছিল প্রেমিকার উষ্ণ চুমুর স্মৃতি!
ধূলোর ’পরে পড়ে থাকা রক্তমাখা চিঠির প্রতিটি শব্দই হয়ে উঠেছিল বিধ্বংসী কামান!
কোনো এক সদ্য বিবাহিত যুবকের প্রিয়তমার নিকট প্রেরিত চিঠিটি
হয়তো পড়েছিল কোনো এক মরচে ধরা ডাকবাক্সে।
সদ্য বিবাহিতার প্রতীক্ষা এখনো হয়তো ফুরোয়নি,
তার টানা টানা সন্ধানী আঁখিজোড়া রেখে গেছে সে, সেই পরিচিত পথে;
সে পথ ধরে তার প্রিয়তম মানুষটি আসেনি, এসেছে তার কোলজুড়ে প্রিয় স্বাধীনতা!
আমাদের স্বাধীন জাতিসত্তার আত্মমর্যাদার রং লাল-সবুজ বিশ্ববাসী চেনে।
আজকে উদ্যমী চঞ্চলপ্রাণ এভারেস্টের শিখরে ওড়ায় বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়।
চতুর্দিক আমাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে,
আমাদের দুর্বার গতি থামাবার আছে কে?
মুক্ত আকাশে একঝাঁক পায়রা উড়ছে।
কৃষ্ণচূড়া আর পলাশের রঙে ছেয়ে গেছে এ বাংলা,
সবুজ ক্ষেতের আলের পাশে খাবার কুড়োয় শালিক।
এত সুন্দর স্বাধীনতা, এত স্বাদ স্বাধীনতার!
আমার জন্ম কেন হলো না, আমার জন্মের আরও ত্রিশ বছর পূর্বে?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা