'চর্চা করুন, খবর লিখুন: পাঁচরঙা যুক্তি পরামর্শ'


২০১৪ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির বইমেলা চলছে যশোর টাউন হল মাঠে। তখন ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। বন্ধু ইমরানকে নিয়ে গেলাম বইমেলায়। প্রথম আলোয় বিজ্ঞাপন দেখে প্রথমার স্টলে গিয়ে প্রথমেই কিনে নিলাম বইটি। চর্চা করুন, খবর লিখুন: পাঁচরঙা যুক্তি পরামর্শ বইটি শুধু সাংবাদিক নন, যাঁরা নিজের মনের ভাব সমাজের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য আকারে উপস্থাপন করতে চান, সবার জন্যই অতীব গুরুত্ববহ। বইটি লিখেছেন কুর্রাতুল-আইন-তাহ্মিনা।
লেখালেখির ব্যাপারটা নাকি ঐশ্বরিক, সবাই চাইলেই পারেন না। আবার অনেকে কলমের খোঁচাতেই অনেক কিছু লিখতে পারেন। তবে পত্রিকার সাংবাদিকতা ব্যাপারটা কৌশলগত। এখানে একজন সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদন বা ফিচার এমনভাবে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করবেন, যাতে পাঠক শেষ অবধি না পড়া পর্যন্ত একটুও টাল খাবেন না, এক লাইন পড়ার পর পরের লাইন পড়ার প্রতি আরও আগ্রহী হবেন, এটাই একজন সফল প্রতিবেদকের দায়িত্ব থাকে।
রেডিও-টিভি-অনলাইন-মুঠোফোনের যুগে পাঠক পত্রিকা হাতে পাওয়ার আগেই কোনো ঘটনার মূল কথাটা জেনে যান। তবুও পাঠক প্রতিটি ঘটনার ভেতরের ঘটনা জানতে চান, বিশ্লেষণ শুনতে চান। পাঠকের এই তৃষ্ণা যে প্রতিবেদক যতটা ভালোভাবে মেটাতে পারেন, তাঁর লেখাই প্রভাব বিস্তার করে তত বেশি পাঠকের ওপর। সেই প্রভাব বিস্তারের প্রতিটি কৌশল সুচারুভাবে ফুটে উঠেছে চর্চা করুন, খবর লিখুন: পাঁচরঙা যুক্তি পরামর্শ বইটিতে।
মোট আটটি অনুচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে বইটি। কীভাবে প্রতিবেদন বশীকরণ করবেন, পাঠকের আগ্রহ কীভাবে বুঝবেন, সত্য অনুসন্ধান কীভাবে করবেন, শিরোনাম শব্দবাণের কাজ কীভাবে করবে, ক্যাপশন কীভাবে পাঠকের মনে ধরবে—প্রতিটি জিনিসের পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করা হয়েছে বইটির প্রতিটি পাতায়।
যাঁরা সাংবাদিকতায় আসতে চান, যাঁরা সাংবাদিকতায় আছেন, নিজেকে আরও উন্নত করতে চান, সবার জন্য জুতসই একটি বই চর্চা করুন, খবর লিখুন: পাঁচরঙা যুক্তি পরামর্শ। লকডাউনের এই দিনগুলোতে ঘরে বসেই পড়ে নিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ বইটি।

সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা