যেভাবে বাড়াতে পারেন সৃজনশীলতা


বাক্সের বাইরেও কিছু আছে:
আমাদের প্রত্যেকের জীবন একটা বাক্সে বন্দী। ব্যর্থতার ভয় আমাদের এই বাক্সের বাইরে চিন্তা করতে বাধা দেয়। প্রত্যেকের উচিত বাক্সের এই সীমা সরিয়ে ফেলে নিজের স্বপ্নগুলো পূরণের জন্য ঝুঁকি নেওয়া।
এমনকি যদি এর ফলে ব্যর্থতাও আসে, তবে এই ব্যর্থতা নিজেকে নতুন করে ভাবতে ও নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দেবে। তবে ঝুঁকি নেওয়ার আগে বিষয়টির ওপর বিশদভাবে চিন্তা করে নিতে হবে। আগে থেকেই এই সম্পর্কিত কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা জানতে হবে। ভুলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। লক্ষ্য পূরণের জন্য ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে রাখতে হবে এবং বিকল্প পথ রাখতে হবে।

চারপাশ একটু বদলে নেওয়াটা জরুরি:
প্রতিদিনের কাজ করার পরিবেশে একটু সামান্য পরিবর্তন পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কাজে সতেজতা ও একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন চেয়ারটার পজিশন একটু বদলিয়ে, কিংবা টেবিলটায় রাখা জিনিসগুলো পরিবর্তন কিংবা পরিমার্জন করে, চায়ের কাপটা রাখার জায়গায় নতুন স্টেশনারির একটি সেট রেখে অথবা কেবল আপনার ডেস্কের সেটআপ পরিবর্তন আপনাকে আরও কিছুটা সৃজনশীল হতে সহায়তা করবে ও কাজে নতুন উদ্দাম এনে দেবে।

চোখ ও মন খোলা রাখতে শিখুন:
আমাদের মাথায় নতুন কোনো আইডিয়া বা ধারণা এলে অতি দ্রুত তা রূপান্তর করতে যাওয়াটা বোকামি। কোনো নতুন ধারণার মুখোমুখি হওয়ার সময় আমরা প্রাথমিক যে অভাবটা বোধ করি, সেটা আমাদের জ্ঞানের অভাব। মনে করুন, আপনি কাঁকড়ার খামার দেবেন। কিন্তু আপনি পত্রিকা পড়েন না, খবর শোনেন না, ফলে দুই মাস পর যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে দক্ষিণাঞ্চলে,এটা জানেন না। এ ক্ষেত্রে জ্ঞানের স্বল্পতা অনেক বড় বিপদ ঘটাতে পারে। এ জন্য চোখ ও মন দুটোই খোলা রাখা উচিত।

নেতিবাচকের বদলে বিকল্প ভাবনা করুন:
নিজের সব ধারণা নোট করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভব আসাটাই স্বাভাবিক, তবে সেসব দূরে রাখতে হবে।
নেতিবাচক ধারণাগুলোকে এক পাশে রেখে বিকল্প ধারণা ভাবতে শিখতে হবে। ধরুন, আপনি ম্যানিব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বছর পাঁচ বছর পর বেশির ভাগ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আদান–প্রদান করবে, সে ক্ষেত্রে ম্যানিব্যাগের ব্যবহার হ্রাস পাবে, সেই মুহূর্তে আপনি কীভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবেন, সেটার বিকল্প ভাবনা শুরু করতে।

সাধারণ সম্পাদক, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা