এক সুন্দর দিন


করোনার এই সময়টাতে কিছু মানুষ খুবই অসহায়ত্বের মধ্যে আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম পথশিশু। ওদের অনেকেই পিতৃ–মাতৃহীন, নেই দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা, নেই মাথার ওপর থাকার মতো ছাদটুকু। ওরা দুমুঠো অন্নের জন্য আমার–আপনার কাছে খাবারের জন্য হাত পেতে অবজ্ঞার শিকার হয়! এই ঈদে আমি তাদের জন্য কিছু করতে চাই।
বর্তমানে আমি পথশিশু সেবা সংগঠন নামের এক স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমাদের সংগঠনের নেতৃত্বে যে মানুষটি কাজ করছেন, তিনি হলেন ব্রাদার লুসিও। তিনি ইতালিয়ান নাগরিক, ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের পথশিশুদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আমি চট্টগ্রামের একজন ভলান্টিয়ার। আমরা সমাজের অবহেলিত শিশুদের শিক্ষা, বিনোদন, খেলাধুলাসহ কাউন্সেলিংয়ের ওপর কাজ করি। আমরা শিশুদের সঙ্গে এমনভাবে মিশতে চেষ্টা করি, যাতে শিশুরা আমাদেরকে তাদের আপনজনের মতো ভাবতে শুরু করে। আমাদের ওপর আস্থা বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। আমরা চট্টগ্রামের রেলওয়ে স্টেশন, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও বায়েজীদ বোস্তামির মাজারে সেবা প্রদান করে থাকি।
এবার ঈদের দিন আমারা পরিকল্পনা করেছি আমাদের পথশিশুদের সঙ্গে কাটাব। করোনার এই সময়টাতে তাদের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের জন্য কিছু গিফট নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমাদের আরেক ভলান্টিয়ার সহকর্মী ফ্রান্সিসকা রেবারিও সব পথশিশুর জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আশা করি, করোনা সতর্কতা অবলম্বন করে আড্ডা গানে আমাদের শিশুদের সঙ্গে এক সুন্দর দিন কেটে যাবে।
চট্টগ্রাম