প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি ও প্রথম আলো বন্ধুসভার উদ্যোগ

প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি ও প্রথম আলো বন্ধুসভা বিকাশের উদ্যোগে দেশের ২০ জেলায় অসহায় মানুষের কাছে পাঠানো হচ্ছে নগদ অর্থ। সংশ্লিষ্ট জেলার বন্ধুসভার বন্ধুদের সহযোগিতায় ২০০ দরিদ্র পরিবার পাবে এ সহযোগিতা। প্রথম আলো বন্ধুসভাকে এই কাজে আর্থিক সহযোগিতা করছে ‘প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি’ নামের একটি সংগঠন।

মূলত চাঁদের হাসি প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটির অর্থায়নে একটি সহায়তা কার্যক্রম। ২০ জেলার ২০০ পরিবারকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে ২০ জেলাকে দুই পর্বে ভাগ করে কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে (প্রথম পর্বে ১০ জেলা এবং দ্বিতীয় পর্বে ১০ জেলা)।

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম পর্ব আছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, সিলেট, শরীয়তপুর, কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর, বান্দরবান, গোপালগঞ্জ।

দ্বিতীয় পর্বে আছে চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, পঞ্চগড়, ভোলা, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা।

বিষয়টি নিয়ে প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের সংগঠন প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি এতিম শিক্ষার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা, অতি দরিদ্র কর্মজীবী মানুষকে স্বাবলম্বী করা, অদম্য মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেবা, চিকিৎসাসেবা, জরুরি দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত। বর্তমানে জরুরি দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। বন্ধুসভার সঙ্গে এ ধরনের কাজে এই প্রথম অংশ নিচ্ছে।’

প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুমিত আল রশিদ বলেন, ‘করোনাকালে প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বন্ধুসভার ওপর আস্থা রেখেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমরা এই সংগঠনের সফলতা কামনা করি। আমরা চাই এই সময় মানুষের বাড়িতে ভিড় না করে আমরা যেভাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা করছি এটা ভালো দিক, আমরা চাই এভাবেই সবার কাছে ভালোবাসা পৌঁছে যাক।’

জাতীয় পর্ষদের নির্বাহী সভাপতি শাকিল মাহবুব বলেন, ‘যেহেতু আমাদের ঘরে থাকতে হবে, আমরা বন্ধুদের বলেছি নিরাপদে থাকার জন্য। তবে আমাদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। আমরা সেই অবস্থান থেকে মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে একসঙ্গে আরও বড় উদ্যোগ নিতে পারব। আমাদের দেখেও অনেকে উৎসাহিত হবেন।’