যশোর বন্ধুসভার ত্রাণ বিতরণ
'আম্পান’ ঘূর্ণিঝড়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মেহেরুন নেছার সংসার ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ের রাতে বসতবাড়ির উপরে গাছের ডাল পড়ে তাঁর স্বামী ও এক ছেলে মারা যান। স্বামী-সন্তান হারিয়ে মেহেরুন এখন খুব কষ্টে আছেন। ফসলে মাঠে দিনমজুরির কাজ করে এখন চার ছেলে-মেয়ের সংসার চালাতে হয় তাকে। প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই সংগ্রামী নারীর হাতে চাল-ডাল-আলুর ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন যশোর বন্ধুসভার বন্ধুরা। এই সহায়তা পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি।
মেহেরুনের মত ৬৫ জন অসহায় মানুষের হাতে প্রথম আলোর ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৪৩ পরিবার ও রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া দাখিল মাদরাসার মাঠে ২২ পরিবারের সদস্যদের হাতে এই ত্রাণের পণ্য তুলে দেওয়া হয়।
ত্রাণের প্যাকেট হাতে পেয়ে মেহেরুন নেছা বলেন, ‘মাঠে কোনো কৃষি জমি-জায়গা নেই। বসতবাড়ির জায়গাটুকুই সম্বল। ঝড়ে স্বামী আর ছেলেকে হারিয়েছি। তারাই ছিলো সংসারের কর্মক্ষম মানুষ। কিন্তু তাদেরকে হারিয়ে এখন আমি দিশেহারা। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটছে। আপনাদের চাল-ডালে অন্তত তিনদিন খেয়ে বাচতে পারবো।’
ওই গ্রামের আরেকজন অসহায় নারী দিপালী দাস। ঝড়ের রাতে তিনিও একসাথে বাবা-মাকে হারান। ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে বাড়ির উপরে পড়ে মা-বাবা দুইজনই মারা যান। এখন তাদের পরিবারে দুঃখের যেন শেষ নেই। তার হাতেও ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হলো।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ শরিফী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, যশোর বন্ধুসভার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।