হাসিগুলো অনুভব করতে পারছিলাম

কেন্দ্রীয় বন্ধুসভার মাধ্যমে জানতে পারলাম, এবার ‘সহমর্মিতার ঈদ’ শিরোনামে আমরা কিছু নগদ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের পাঠাব। শুনে খুবই ভালো লাগল। তারপর আমাদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে কাজ শুরু করে দিলাম। মনে মনে ভাবলাম, যাক আমাদের মাধ্যমে অল্প কিছু মানুষ অন্তত দু–এক দিন ভালো খেতে পারবে।

তারই ধারাবাহিকতায় আমরা নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভা ১৮টি পরিবার বাছাই করলাম। বন্ধুরা ৯ হাজার টাকা একত্র করে ১৮টি পরিবারের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করলাম। চাঁদ রাত পর্যন্ত চলল আমাদের কার্যক্রম। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। নতুন জামা কার্যক্রমে আমরা হাসিগুলো বাস্তবে দেখতে পেতাম। কিন্তু এই কার্যক্রমে হাসিগুলো অনুভব করতে পারছিলাম।

টাকা পাঠিয়ে যখন নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফোন করেছি, তখন সবাই মনখোলা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ এমনও বলেছেন, ‘এ টাকাটা না পেলে এবার হয়তো সেমাই-চিনিটাও খাওয়া হতো না। আপনাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করি।’

যদি সামর্থ্য থাকত তবে আরও কয়েকজনের পাশে দাঁড়ানো যেত। কিন্তু মন চাইলেই তো আর পারা যায় না। তারপরও এই পরিস্থিতিতে যতটুকু সম্ভব হয়েছে, এ জন্য শুকরিয়া।

ধন্যবাদ, প্রথম আলো বন্ধুসভা। এত সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়ে মানুষের জন্য আমাদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এ মহৎ কাজে আমাদের যারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

মিরাজ রেজা: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ বন্ধুসভা