সে হাসি ছড়িয়ে দেব সবখানে

বন্ধুসভা জাতীয় পর্যালোচনা পর্ষদের ঘোষণায় আমরা ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচি শুরু করি। আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার অর্থসহায়তা পেয়ে উপকৃত হয়েছে ২৬টি পরিবার।
বন্ধুদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে সাহায্য পাঠিয়েছি নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোকে। কোনো পরিবারের কর্তা হারিয়েছেন আয়ের পথ, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পরিবারের নিষ্পাপ চোখগুলো। একজন প্রতিবন্ধী মহিলার কথা মনে দাগ কেটেছে, যাঁর তিনকুলে কেউ নেই। তাঁর কথা শুনতে পেয়েছিলাম, কিন্তু সাহায্য পাঠানোর পর তাঁর অনুভূতি দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
করোনা সচেতনতায় মানুষগুলোর আনন্দ চোখে দেখতে পারিনি, কারণ অবলম্বন মোবাইল ব্যাংকিং।
ক্ষুধায় দুমুঠো ভাতের সংস্থান দিলে অনুভূতি কেমন হয় বোঝার চেষ্টা করছিলাম। এ কাজে নেমে দেখেছি মানুষের আক্ষেপ, আত্মসম্মান আর বেঁচে থাকার লড়াই। দেখেছি দুমুঠো খাবারের জন্য চেয়ে থাকা আর অল্পতে খুশি হওয়া। শব্দগুলো লেখার সময় হাত কাঁপছে। বাচ্চাদের নিষ্পাপ মুখ আর ফোঁকলা দাঁতের হাসি মনে পড়ছে।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ‘মানুষের পাশে থাকতে হবে’ এই চিন্তা ফলপ্রসূ করার চেষ্টা বেড়েছে। করোনামুক্ত পৃথিবীতে আমরা মিলেমিশে সব বাধা জয় করে কাজ করে যাব, হাসি ফোটাব মানুষের মুখে এবং সবাই একসঙ্গে ‘সে হাসি ছড়িয়ে দেব সবখানে।’

রুবাইয়া রাখী: সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা