দিনমজুর আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কয়েক মাস ধরে কর্মহীন। পরিবারের দৈনিক দুবেলা খাদ্যসংস্থানই তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ তাদের থাকার জায়গাটুকু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অসহায় জীবন যাপন করছে। কোনো প্রকার স্বাস্থ্যসুবিধা, খাদ্য বা আশ্রয় নেই।
করিমুন্নেছা, স্বামী নূর মোহাম্মদ, বেকার শ্রমিক, করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস ঘরে বসে আছেন, কাজ নেই। ঘূর্ণিঝড় আম্পান তাঁদের জীর্ণ ঘরটির চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে দিনে-রাতে দুবার ঘরদোর ভাসে। এমন দুর্যোগে ঘরে খাবার নেই। ছোট্ট সন্তানের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দেবেন, সে সামর্থ্যও নেই।
১৫ জুন দুপুরে প্রথম আলো ট্রাস্টের খাদ্যসহায়তা পাওয়ার পর চোখে-মুখে আনন্দ ধরছিল না সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাসিন্দা করিমুন্নেছার। বললেন, ‘ঘরে খাবার নি। আঙ্গা জন্যি খুব উপকার হুয়ি। এখন কদিন দুটু-ডাল আলু দে নিশ্চিন্তি খাতি পারবান।’
প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এমন ১৫৫টি অসহায় পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি জাহিদা জাহান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হোসেন ও ইমরুল হাসান, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুর রহমান, অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক শেখ শরীফ হাসান প্রমুখ।
মো. হোসেন আলী: সহসভাপতি, সাতক্ষীরা বন্ধুসভা