কাব্যরস

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কবিতা পড়তে হলে আমাদের কাব্যরস সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। যাঁরা কবিতা আবৃত্তি করেন বা লেখেন, তাঁদেরও এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকলেই নয়। কাব্যরস সম্পর্কে কিয়ৎ জানা থাকলে আপনার আবৃত্তি, শিল্পমানে উত্তীর্ণ হবে বলেই আমার ধারণা।

আসুন, এবার কাব্যরস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। কোনো বর্ণনা শ্রবণ বা পাঠ করে অথবা নাটক, অভিনয় দেখে মনে যে স্থিরতর অপূর্ব ভাবের উদয় হয়, সেই স্থায়ী ভাবকে কাব্যরস বলে। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী তার ‘সাহিত্যে খেলা’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, শাস্ত্রমতে কাব্যরস হলো অমৃত।

কাব্যরস ৯ প্রকার। যথা: আদি, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, ভয়ানক, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত।

আদিরস (the erotic): নায়ক-নায়িকার অনুরাগবিষয়ক ভাবকে আদিরস বলে।

বীররস (the heroic): দয়া, ধর্ম, দান, দেশভক্তি ও সংগ্রাম বিষয়ে উৎসাহবিষয়ক ভাবের নাম বীররস।

করুণরস (the pathetic): ইষ্টবিয়োগ বা অপ্রিয়সংযোগে যে শোকসঞ্চার হয়, তাকে করুণরস বলে।

অদ্ভুত রস (the surprising): আশ্চর্য বিষয়াদি দর্শনে যে বিস্ময়াত্মক ভাবের উদয় হয়, তাকে অদ্ভুত রস বলে।

হাস্যরস (the comic): বিকৃত আকার, বাক্য ও চেষ্টা দ্বারা যে ভাবের উদয় হয়, তা হাস্যরস নামে পরিচিত।

ভয়ানক রস (the disgustful): যা হতে মনে ভয় সৃষ্টি হয়, তাকে ভয়ানক রস বলে।

বীভৎস রস (the surprising): যা দ্বারা মনে ঘৃণাদায়ক ভাবের উদয় হয়, তাকে বীভৎস রস বলে।

রৌদ্র রস (the terrible): ক্রোধজনক রসকে রৌদ্ররস বলে।

শান্ত রস (the quietistic): তত্ত্বজ্ঞানের জন্য যে শান্তভাবের উদয় ও অনুরাগ জন্মায়, তাকে শান্ত রস বলে।

তবে ভারতীয় দর্শনে নানান শাস্ত্রে নানা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন—

ভরতের নাট্যশাস্ত্র বিচারে রস ৮ প্রকার। এগুলো হলো—শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস ও অদ্ভুত। নাট্যশাস্ত্রের শান্ত রসকে করুণ রসের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

কাব্যশাস্ত্রে রস ৯ প্রকার। এগুলো হলো—শৃঙ্গার, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, ভয়ানক, বীভৎস, রৌদ্র ও শান্ত। কেউ কেউ এর সঙ্গে বাৎসল্য নামক একটি অতিরিক্ত রসের কথা বলে থাকেন। এই অতিরিক্ত প্রকরণ যুক্ত করলে রসের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০টি।

কাব্যশাস্ত্রের ১০টি রস

১. শৃঙ্গার: শৃঙ্গ শব্দের অর্থ হলো কামদেব। শৃঙ্গের আর (আগমন) হয় যাতে, তা–ই শৃঙ্গার। এর অপর নাম আদিরস। নরনারীর দৈহিক সম্ভোগের ইচ্ছায় যে অনুরাগের সৃষ্টি হয়, তাকেই শৃঙ্গার বলা হয়। প্রেমপ্রকাশ কাব্যে এই রসের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

২. বীর: দয়া, ধর্ম, দান এবং যুদ্ধের নিমিত্তে এই রসের উদ্ভব হয়। এর প্রতিটির ভেতর জয়লাভের ভাব থাকে, যার দ্বারা প্রতিকুল পরিবেশকে পরাজিত করে জয়ী হওয়ার উদ্দীপনা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে এতে থাকে বীরোচিত প্রতীজ্ঞা। ভয়ানক, শান্ত রস বিরোধী। যেমন—

‘বারিদপ্রতিম স্বনে স্বনি উত্তরিলা

সুগ্রীব; ‘মরিব, নহে মারিব রাবণে,

এ প্রতিজ্ঞা শূরশ্রেষ্ঠ, তব পদতলে!’

                —মেঘনাদ বধ, সপ্তম সর্গ। মধুসূদন

৩. করুণ: আকাঙ্ক্ষা নষ্ট হলে, অকল্যাণ হলে, প্রিয়জন বিয়োগ ইত্যাদিতে এই রসের সৃষ্টি হয়। মূলত শোকের ভাব এতে প্রকাশ পায়। শৃঙ্গার এবং হাস্যরস এর বিরোধী। যেমন—

‘কাঁদিলা রাক্ষসবধূ তিতি অশ্রুনীরে

শোকাকুলা। ভবতলে মূর্ত্তিমতী দয়া

সীতারূপে, পরদুঃখে কাতর সতত,

কহিলা—সজল আঁখি সখীরে;—

‘কুক্ষণে জনম মম, সরমা রাক্ষসি!’

           —মেঘনাদ বধ, নবম সর্গ। মধুসূদন

৪. রৌদ্র: ক্রোধ রস থেকে এই রস উৎপন্ন হয়। ক্রোধের উগ্রতা এবং ভয়ঙ্কর রূপ হলো এই রস। এই কারণে ক্রোধকে এর স্থায়ীভাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অলঙ্কার শাস্ত্রে একে রক্তবর্ণ ও রুদ্রদৈবত নামে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন—

‘কি কহিলি, বাসন্তি? পর্ব্বত-গৃহ ছাড়ি,

বাহিরায় যবে নদী সিন্ধুর উদ্দেশে,

কার হেন সাধ্য যে সে রোধে তার গতি?’

                —মেঘনাদ বধ, তৃতীয় সর্গ। মধুসূদন

৫. অদ্ভুত: আশ্চর্যজনক কোনো বিষয় থেকে উদ্ভূত বিস্ময়কর ভাবই হলো অদ্ভুত রস। সাধারণ অলৌকিক কোনো বিষয়কে এই রসে উজ্জীবিত করা হয়। যেমন—

‘সবিস্ময়ে রঘুনাথ নদীর উপরে

হেরিলা অদ্ভুত সেতু, অগ্নিময় কভু,

কভু ঘন ধূমাবৃত, সুন্দর কভু বা

সুবর্ণে নির্ম্মিত যেন! ধাইছে সতত

সে সেতুর পানে প্রাণী লক্ষ লক্ষ কোটি

হাহাকার নাদে কেহ; কেহ বা উল্লাসে!’

                —মেঘনাদ বধ, অষ্টম সর্গ। মধুসূদন

৬. ভয়ানক: ভয় থেকে এই রসের উদ্ভব। বিপজ্জনক বা ভীতিপ্রদ কোনো বিষয় থেকে মনে যে ভাবের সঞ্চার হয়।

৭. বীভৎস: কোনো কুৎসিত বিষয়ের প্রতি ঘৃণা থেকে বিভৎস রসের সৃষ্টি হয়।

৮. হাস্য: কৌতুকজনক বাক্য বা আচরণ থেকে এই রসের উদ্ভব হয়।

৯. শান্ত: চিত্তকে প্রশান্ত দেয় এমন ভাব থেকে শান্ত রসের উদ্ভব হয়।

১০.বাৎসল্য: সন্তানের প্রতি স্নেহে যে ভাবের উদ্ভব ঘটে, তা–ই বাৎসল্য রস।

লেখক
লেখক

কখনো কখনো মনজগতের এই দ্বিতীয়তলে সৃষ্ট সৌন্দর্য শ্রোতা-দর্শকদের এতটাই গভীরে টেনে নেয়, সে তখন রসজগতে দ্রবীভূত হয়ে যায়। সে কারণে অভিনয় দেখে মানুষ কাঁদে, হাসে, ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শোনা যায়, ইতালি অভিযান শেষ—নেপোলিয়ানের একদল সৈন্য, লেওনার্দো দা ভিঞ্চি যে ঘরটিতে The Last Supper ছবিটি এঁকেছিলেন, সেই ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল। যিশুখ্রিষ্টের পরম ভক্তদের কেউ কেউ তখন, যিশুর সঙ্গে প্রতারণাকারী জুডাথের উদ্দেশে জুতো ছুঁড়ে মারে। ফলে সে সময়ও ছবিটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মূলত এই সৈনিকেরা প্রথমে মনোজগতের দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে একটি রৌদ্ররস দ্বারা দ্রবীভূত হয়েছিল। এরপর এরা ছবিটির বিষয়বস্তুটির সঙ্গে এতটাই গভীরভাবে মিশে গিয়েছিল যে তাদের কাছে ছবির জুডাথ মনের গভীরতলে বাস্তব হয়ে উঠেছিল। এখানে ছবির সৌন্দর্য নিয়ে সৈনিকেরা মাথা ঘামায়নি। ছবিটি নষ্ট হয়ে যাবে, এই মমতাও তাদের ছিল না। এই ছবিটি ঘটনাক্রমে একদল মানুষের সুকুমার প্রবৃত্তিকে নষ্ট করে দিয়েছিল। এ কারণে এই ছবিকে সৌন্দর্যহীন বলা যাবে। একটি কারণে ছবিটি সৌন্দর্যের দাবিদার হয়ে উঠে, তা হলো এর সততা ও তার সমন্বয়। ছবিটির এই সততা ও সমন্বয় সৈনিকদের বাস্তব জগৎ থেকে ভুলিয়ে ঠেলে দিয়েছিল কল্পজগতে।

কাব্য রসের ধর্ম

রসের উৎকর্ষসাধক ধর্মের নাম গুণ বা স্টাইল। এই গুণ তিন প্রকার। যথা: মাধুর্য, ওজঃ এবং প্রসাদ।

মাধুর্য (elegance): কাব্যের যে গুণ থাকলে শোনামাত্র চিত্ত ব্যাকুল ও মন বিগলিত হয়, তাকে মাধুর্য বলে।

ওজঃ (encitement): যে গুণ দ্বারা চিত্ত উদ্দীপ্ত ও উজ্জীবিত হয়, তাকে ওজঃ বলে।

প্রসাদগুণ (perspicuity): যে গুণ থাকলে শোনামাত্র অর্থপূর্ণ মনে হয়, তাকে প্রসাদগুণ বলে।

রসবোধ

রসবোধ হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান–সম্বন্ধীয় অভিজ্ঞতার প্রবণতা, যেটা হাসির উদ্রেক করে এবং আনন্দ দেয়। এই শব্দটি প্রাচীন গ্রিক রসবোধের ঔষধ (humoral medicine) থেকে এসেছে, যেটা শিখিয়েছিল যে মানুষের শরীরের তরলের সমতা, যেটা জীবদেহনিঃসৃত রস নামে পরিচিত (ল্যাটিন: humor), মানুষের স্বাস্থ্য এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সকল বয়স এবং সংস্কৃতির মানুষের মাঝেই রসবোধ আছে। বেশির ভাগ মানুষ রসবোধ অনুভব করতে পারে, আনন্দিত হয়, মজাদার কিছুতে মৃদু অথবা অট্টহাসি হাসে এবং সে জন্য তাদের রসবোধ আছে বলে মনে করা হয়। যে যুক্তিবাদী মানুষটার রসবোধ নেই, সে এসব আচরণকে অনির্বচনীয়, অদ্ভুত, এমনকি অসংগতও মনে করতে পারে। যদিও শেষতক ব্যক্তিগত পছন্দ দ্বারাই রসবোধ নির্ধারিত হয়, একজন ব্যক্তি কোনো কিছুতে কতটুকু রস খুঁজে পায়, তা নির্ভর করে কয়েকটি উপাদানের ওপর, যার মধ্যে আছে ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি, মানসিক পরিপক্কতা, শিক্ষার স্তর, বুদ্ধি ও ঘটনার প্রসঙ্গ। উদাহরণস্বরূপ ছোট ছেলেমেয়েরা পাঞ্চ অ্যান্ড জুদি পুতুল নাচ অথবা টম অ্যান্ড জেরি রঙ্গচিত্রের মতো চরকিবাজি দেখে আনন্দ পেতে পারে, যাদের শারীরিক প্রকৃতি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। অপরপক্ষে ব্যঙ্গধর্মী রচনার মতো অধিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন রসবোধের জন্য প্রয়োজন তার সামাজিক অর্থ ও ঘটনার বোধশক্তি এবং সে জন্য অধিক মানসিক পরিপক্ক শ্রোতাদের তা আকৃষ্ট করে।

রসিকতা

রসিকতা হলো কোনো বক্তব্য, উচ্চারণ বা অঙ্গভঙ্গি, যা মানুষের মনে হাস্য রসের সঞ্চার করে। যেমন একটি কৌতুক হচ্ছে রসবোধে পূর্ণ বর্ণনামূলক অভিব্যক্তি, যেখানে নির্দিষ্ট এবং বিশেষায়িত ভঙ্গিমায় শব্দগুলো উপস্থাপিত হয়, যার ফলে মানুষ হাসে। এটি সংলাপ দিয়ে শুরু হয়ে গল্পের রূপ নেয়, পাঞ্চ লাইনে শেষ হয়। আর এই পাঞ্চ লাইন শুনেই শ্রোতা বুঝতে পারে যে উপস্থাপিত কথাগুলোর দ্বিতীয় কোনো অর্থ আছে। এটা মূলত করা হয়ে থাকে শ্লেষালঙ্কার অথবা অন্যান্য শব্দ খেলা যেমন বিদ্রূপ (irony) ব্যবহার করে। ব্যঙ্গ আরেক ধরনের রসিকতা, যার উদ্দেশ্য অবমাননা করা।

ভাষাবিদ রবার্ট হেটজরন যে সংজ্ঞাটি প্রস্তাব করেছেন, ‘একটি কৌতুক হলো ক্ষুদ্র আকারের মৌখিক সাহিত্যের রসাত্মক অংশ, যেখানে শেষ বাক্যে হাস্যকর পরিণতি পায়, যাকে বলে পাঞ্চ লাইন। আসলে প্রকৃত শর্ত হলো, কৌতুকের রসবোধটা শেষে যেন চরমে পৌঁছে। এ চরম হাস্যবোধ মিলিয়ে যায়, এমন কিছু যোগ করা যাবে না। যদিও একে “মৌখিক” বলা হয়েছে, তথাপি কৌতুক ছাপানো হতে পারে, উত্তরোত্তর রূপান্তর হতে থাকলে আক্ষরিকভাবে পুনরূৎপাদনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যে রকমটা কবিতার ক্ষেত্রে হয়।’

একটি ভালো কৌতুক হলো স্বল্পপরিসরে প্রকাশিত কতগুলো দৃশ্য, যা শেষ মুহূর্তে হাসার জন্য যথেষ্ট। তবে ধাঁধা কৌতুকের ক্ষেত্রে ভাবধারা পরোক্ষভাবে বোঝা যায়। রুক্ষ কুকুরের গল্পটির নিজস্ব মানে আছে অকৌতুক হিসেবে, যদিওবা একে কৌতুক বলে উপস্থাপন করা হয়। এতে বিস্তরভাবে সময়, স্থান ও চরিত্রের বর্ণনা থাকে, আরও অহেতুক গড়গড়ে বর্ণনা থাকে, যা পরিশেষে পাঞ্চ লাইন প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। কৌতুক একধরনের রসবোধ সাহিত্য, কিন্তু সব রসবোধ সাহিত্যই কৌতুক নয়। কিছু রসবোধ সাহিত্য গঠিত হয়, যা মৌখিক কৌতুক নয়, যেমন অনৈচ্ছিক রসবোধ, অবস্থাগত রসবোধ, দৈনন্দিন কৌতুক, ধুমধারাক্কা ও চুটকি। ডাচ ভাষাবিদ আন্দ্রে জুলির মতে, সাধারণ মৌখিক কৌতুকগুলো সময়ের সঙ্গে বেনামে বয়ে চলে। এগুলো ব্যক্তিগত এবং জনসমাগমে বলা হয়ে থাকে, একজন তার বন্ধুকে কথোপকথনের মধ্যেই সাবলীলভাবে কৌতুক বলে থাকে, অথবা অনেক মানুষ জড়ো হয়ে বিনোদনের উদ্দেশ্যে সেখানে একগাদা কৌতুক উপস্থাপন করে থাকে। কৌতুক সময়ের সঙ্গে লিখিত রূপেও বয়ে চলে, অতি সম্প্রতি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে। মঞ্চ–কৌতুক, কৌতুক অভিনেতা এবং কৌতুকের গতিময়তা কাজ করে উপস্থাপনে কৌতুক বলার সঠিক সময়, সূক্ষ্মতা এবং ছন্দের ওপর; শারীরিক অঙ্গসঞ্চালন হাসানোর জন্য ততটাই দরকার, যতটা দরকার হয় পাঞ্চ লাইনের।

একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, ‘একটি কৌতুক হাস্যকর কথা বলে,আর কৌতুক-অভিনেতা বস্তুকে হাস্যকর করে তোলে।’
পরিশেষে বলি, কাব্যরস সম্পর্কে যদি আপনার না জানা থাকে, তাহলে কি আপনি কবিতা আবৃত্তি করতে বা লিখতে পারবেন না? অবশ্যই পারবেন। তবে জেনে করা আর না জেনে করার মধ্যে পার্থক্য অনেক। জেনে করাটাই উত্তম।

সূত্র: উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ভারতীয় নাট্য, কাব্য ও অলংকার শাস্ত্র

বন্ধুসভায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]