অভিমান

অলংকরণ: মাসুক হেলাল
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

পরিচয়টা ফেসবুকে। একসময় বন্ধুত্ব। সময়ে-অসময়ে আলাপ চলল। কত রাত যে মেসেঞ্জারের সবুজ বাতির দিকে তাকিয়ে ভোর করেছি, সেই হিসাব কেউ রাখবে না। সাত মাস পর একদিন সাহস হলো। বলেই ফেললাম, ‘তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

তারও উত্তর দিতে দেরি হলো না, ‘আমিই একদিন তোমাকে কল দিব।’

কিন্তু সেই দিন আর আসে না। প্রতীক্ষা দীর্ঘ হয়। তার কণ্ঠ শোনার অপেক্ষায় কেটে যায় আরও তিনটি মাস। সেই দিনগুলোতে প্রতিদিনই মনে হতো, আজই বুঝি ও ফোন দেবে। অপেক্ষার প্রহর ফুরাবে।

আচমকা অপরিচিত নম্বর থেকে একদিন ফোন এল। উত্তেজনা চেপে ফোনটা রিসিভ করলাম। মেয়েলি কণ্ঠ জিজ্ঞেস করল, ‘কেমন আছেন?’

আমি কবিতার লাইন আওড়াতে লাগলাম। এত দিন ধরে যা রিহার্সাল দিচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই ওপাশ নিস্তব্ধ। লাইনটা কেটে গেল। ফের কল করলাম।

কর্কশ কণ্ঠে ভেসে এল—‘রং নম্বর’। মনটা নিমেষেই খারাপ হয়ে গেল।

অজানা অভিমানে ডাইনিং থেকে বেরিয়ে গেলাম। মন খারাপ হলে ছাদে গিয়ে গান শোনা আমার বাতিক। গান শুনছি; আবার কল এল। এবার আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারলাম না, অনবরত বলে গেলাম—‘কে আপনি? বিরক্ত করছেন কেন? নম্বর দেখে ফোন দিতে পারেন না? প্লিজ আর কল দেবেন না।’

একটু পর মেসেঞ্জারে আওয়াজ হলো। লুবনার মেসেজ, ‘প্রায় এক বছর পর আজ তোমাকে কল করলাম। এমন আচরণ করলা? আর কখনো তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করব না। ভালো থেকো।’

সিয়াম বিন আহমাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া