জোছনাবিলাস

তখন খুব ছোট ছিলাম। সবে হিমু পড়া শুরু করেছি। পড়েই জোছনা দেখার ভূত চেপে বসল আমার মাথায়। আমি, অরণ্য আর জীম—আমরা তিন বন্ধু মিলে ভাবলাম জোছনা দেখব। ঠিক করলাম, আগামী পূর্ণিমায় প্রাইভেট থেকে আসার সময় গাড়িতে আসব না, হেঁটে হেঁটে জোছনা দেখতে দেখতে আসব। নির্ধারিত দিনে সবাই হাঁটা শুরু করলাম। আরেক বন্ধু অনন্যও যোগ দিল আমাদের সঙ্গে। আমরা সবাই আবার জাস্টিন বিবারের ভক্ত। তাই হাঁটতে হাঁটতে জাস্টিন বিবারের গান শুনতে লাগলাম। জোছনা দেখেই এর সৌন্দর্য বুঝতে পারলাম। জোছনার আলোয় জীবন্ত মনে হচ্ছিল গাছগুলোকে। আমরাও গায়ে মাখছিলাম জোছনার আলো। তখন আর বাড়িতে ফিরতে ইচ্ছা করছিল না। মনে হচ্ছিল হিমু হয়ে সারা রাত জোছনা দেখি। সেই স্মৃতি খুবই সুখকর। কিন্তু বাড়িতে এসে তা আর সুখকর রইল না। কারণ, সবাইকে প্রচণ্ড বকুনি খেতে হয়েছিল বাড়িতে। রাতে ঘুমানোর সময় জানালা দিয়ে যখন আমার বিছানায় একটুকরো জোছনা এসে পড়ল, তখন আবারও বুঝতে পারলাম জোছনার স্নিগ্ধতা আর সৌন্দর্য।

লেখক : নবম শ্রেণি, ধুরুং খুলশী লায়ন্স উচ্চবিদ্যালয়, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম