আগামী জুলাইয়ে চালু হবে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন টার্মিনাল
আগামী জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হবে। টার্মিনালটির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ টার্মিনালে একসঙ্গে তিনটি কনটেইনার জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানো যাবে। এ ছাড়া ডলফিন জেটিতে তেলবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। রোববার শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাস অনেক প্রাচীন হলেও ১৮৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল বন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সেই হিসাবে প্রতিবছর ২৫ এপ্রিল বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু হলে বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর জেটির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৬টিতে। এই ১৬টি জেটিতে একসঙ্গে ১৪ থেকে ১৫টি জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। পতেঙ্গা টার্মিনাল নির্মাণে বন্দরের ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ২২৯ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বন্দরের পর্ষদ সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, গত ৩০ মার্চ মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ২৮৩ দশমিক ২৭ একর জমি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বন্দর নির্মাণকাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হবে। অন্যদিকে বে টার্মিনাল প্রকল্পের ৬৭ একর ব্যক্তিমালিকানার জমির দলিল ২০২১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বন্দরকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮০৩ একর জমি প্রতীকী মূল্যে বন্দরের অনুকূলে বরাদ্দ দিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ–সংক্রান্ত সমীক্ষা চলছে।