ই–কমার্সের টাকা ফেরতে গণবিজ্ঞপ্তি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বিভিন্ন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর শুনানি হবে। শুনানি শেষে যেখানে যে টাকা আটকে আছে, তা গ্রাহকদের ওয়ালেটে ফেরত দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে সংঘটিত ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনে সৃষ্ট ভোক্তা বা বিক্রেতা অসন্তোষ ও প্রযুক্তি সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত কারিগরি কমিটির চতুর্থ বৈঠক শেষে সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন।
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন হচ্ছে ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব)। ইক্যাবকে সাত দিনের মধ্যে তালিকা দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, তাঁরা তালিকা না দিলেও গ্রাহকদের ওয়ালেটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এ পর্যন্ত ১২টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেন পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানে (পেমেন্ট গেটওয়ে) আটকে থাকা ৭৩ কোটির বেশি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানান সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, এর বাইরে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ইতিবাচকভাবে যোগাযোগ করেছে। এমনও হয়েছে যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর হারিয়ে গেছে কেউ কেউ। ইক্যাবের কাছে সেসব প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চাওয়া হয়েছে। ইক্যাব যাচাই-বাছাই করে তালিকা দেবে, যা পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
ইভ্যালির বিষয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘খবরে দেখেছি, ইভ্যালির চেয়ারম্যান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ইভ্যালির বিষয়ে আমরা জানি না। যে কমিটি আছে, তারাই যা করার করবে। কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন মিয়াও মুক্ত হয়েছেন। কিউকমের টাকা আটকে আছে ফস্টার করপোরেশনে। রিপন মিয়ার সঙ্গে বসে আটকে থাকা টাকা ছাড় করা হবে।’