ইভ্যালির শেয়ার কিনতে চান রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান) শেয়ার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও কোম্পানিটির সাবেক এক নির্বাহী পরিচালক। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চে হাজির হয়ে আজ বুধবার তাঁরা মৌখিকভাবে এই ইচ্ছার কথা বলেন। আদালত তাঁদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হলফনামা আকারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন।
ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার দিয়ে অর্থ পরিশোধের পর পণ্য ও অর্থ ফেরত না পেয়ে মো. ফরহাদ হোসেন নামের এক গ্রাহক গত সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর আদালত ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় পাঁচ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন। এরপর ইভ্যালির সাতটি গাড়ি নিলামের প্রক্রিয়া পরিচালনাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ একটি আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রাসেল ও তাঁর স্ত্রী, তাঁদের সন্তান, তাঁদের মা-বাবা, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্য এবং ইভ্যালির ভবনমালিকের ব্যাংক (ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক) হিসাবে কেন জব্দ করা হবে না, এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেন।
এরপর রাসেলের শ্বশুর রফিকুল আলম তালুকদার, শাশুড়ি ফরিদা তালুকদার এবং ইভ্যালির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এহসান সারওয়ার চৌধুরী বুধবার আদালতে উপস্থিত হন। তাঁদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম সারওয়ার মজুমদার। ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আইনজীবী মোর্শেদ আহমেদ খান শুনানিতে ছিলেন। গ্রাহকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
পরে আইনজীবী মোর্শেদ আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ইভ্যালিতে থাকা শেয়ার কিনে নেওয়ার অভিপ্রায় মৌখিকভাবে আদালতে ব্যক্ত করেন রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক এহসান সারওয়ার চৌধুরী। কোম্পানিটি পরিচালনায় ইভ্যালির অডিটরকে (নিরীক্ষক) সহযোগিতা করবেন বলেন তাঁরা। আদালত তাঁদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় লিখিতভাবে দিতে বলেন। তখন তাঁরা কিছুদিন সময় চাইলে আদালত তাঁদের পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় হলফনামা আকারে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন।