এজেন্টদের বেশির ভাগই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী

প্রথম আলো: এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কী কী সেবা দেওয়া হচ্ছে?

এম রিয়াজুল করিম: এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব খোলা, অনলাইন লেনদেন, রেমিট্যান্স প্রদান, স্কুল ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিলসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের ফি প্রদানের সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।

প্রথম আলো: এখন পর্যন্ত দেশের কতটি উপজেলায় আপনাদের এজেন্ট ছড়িয়ে পড়েছে? দৈনিক লেনদেন হচ্ছে?

এম রিয়াজুল করিম: ৬৫টি উপজেলায় আমাদের এজেন্ট পয়েন্ট আছে। দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকা সমমূল্যের প্রায় আড়াই হাজার লেনদেন হচ্ছে।

প্রথম আলো: এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?

এম রিয়াজুল করিম: হ্যাঁ, এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমরা ঋণ প্রদানের জন্য সার্বিক প্রস্তুতিসহ অবকাঠামো তৈরি করছি। আশা করি, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা সাধারণ মানুষের হাতে ঋণসুবিধা পৌঁছে দিতে পারব।

প্রথম আলো: ভবিষ্যতে এজেন্টরা আর কী কী সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন?

এম রিয়াজুল করিম: ভবিষ্যতে এজেন্টরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি নানা ধরনের সেবা যেমন রেলসহ অন্যান্য দূরপাল্লার টিকিট ক্রয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফি গ্রহণ, জমির খাজনা প্রদান ইত্যাদি সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন বলে আমরা আশাবাদী।

প্রথম আলো: যাঁরা এজেন্ট হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগ আগে কী করতেন?

এম রিয়াজুল করিম: যাঁরা এজেন্ট হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই স্থানীয় বাজারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। এ ছাড়া কিছু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীও এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। এজেন্টের মাধ্যমে প্রতিটি আউটলেটে ন্যূনতম দুজন কর্মকর্তা (একজন ক্যাশিয়ার ও একজন গ্রাহকসেবা কর্মকর্তা) নিয়োগ পাচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের সহযোগিতার জন্য এজেন্ট কিছু বিপণন কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকেন।

প্রথম আলো: এই সেবার মাধ্যমে আপনাদের লাভ, নাকি লোকসান হচ্ছে?

এম রিয়াজুল করিম: প্রধানমন্ত্রীর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাকে গ্রহণ করেছে, যা গ্রামীণ অর্থনৈতিক বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অচিরেই এই সেবা মুনাফামুখী কার্যক্রমে রূপান্তর হবে বলে আমরা আশাবাদী।