ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপনে আবারও ব্যয় বাড়ল

ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় আবারও বাড়ানো হলো।
দ্বিতীয় দফায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করায় প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ৩৩২ কোটি টাকা।
মূল প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২১৩ কোটি টাকা। পরে প্রথম দফায় তা বাড়িয়ে ২৩৩ কোটি টাকা করা হয়। এরপর এই দ্বিতীয় দফা সংশোধন করা হলো।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গতকাল মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন করেছে। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি, ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, দরপত্রের নতুন হার অনুসারে পুনঃপ্রাক্কলন এবং প্রকল্পে নতুন অঙ্গ সংযোজনের কারণে এই সংশোধন করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন বাউশিয়া ও লক্ষ্মীপুর মৌজায় ২০০ একর জমিতে এই শিল্পপার্ক স্থাপন করা হবে। এতে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য ৪২টি প্লট হবে। এতে প্রায় ২৫ হাজার লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে।
এটি নিয়ে গতকালের একনেকে ৬৪০ কোটি টাকার মোট পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং ৮২ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো: ৩৪ কোটি টাকার নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায় ডাল ও তেলবীজ বর্ধন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প; ৭৭ কোটি টাকার রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পুরাতন গভীর নলকূপ পুনর্বাসন প্রকল্প; ১৫০ কোটি টাকার ২৮টি জেলায় আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ জেলা জজ আদালত ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং ৪৬ কোটি টাকার দোহার-কাটাখালী-নিকড়া-গালিমপুর-টিকরপুর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।