করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব ঢাকা চেম্বারের

আয়কর রিটার্ন দাখিল
ফাইল ছবি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। সে জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি খাতের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

রাজধানীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় আজ বুধবার আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য আয়কর, মূসক ও শুল্কসংক্রান্ত ৪০টি প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ঢাকা চেম্বারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

আগামী বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর প্রায় ২৭ লাখ মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। এটি আমাদের মতো অর্থনীতির জন্য খুবই অপ্রতুল।’ এমন বাস্তবতায় আগামী ১০ বছরে করদাতার সংখ্যা কমপক্ষে ৮০ লাখে উন্নীত করতে এনবিআরকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

দেশের কর ও শুল্কব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার ওপর জোর দিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় আঞ্চলিক সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি দেশে ব্যবসার সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেন তিনি। বর্তমানে শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির করপোরেট কর সাড়ে ২২ শতাংশ। নিবন্ধিত নয়, এমন কোম্পানির করপোরেট কর ৩০ শতাংশ।

এ ছাড়া করপোরেট লভ্যাংশের ওপর ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব দেন রিজওয়ান রাহমান। তিনি বলেন, এটি করলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা পুনর্বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। পুঁজিবাজার আরও সমৃদ্ধ করবে।

ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত ব্যবসায়ের বার্ষিক টার্নওভারের ঊর্ধ্বসীমা তিন কোটি থেকে বাড়িয়ে চার কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি আরও বলেন, চামড়াজাত পণ্য ও জুতাশিল্পে বন্ড লাইসেন্স পেতে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের মতো বন্ড লাইসেন্স প্রতি তিন বছরের জন্য নবায়নের সুবিধা দেওয়া দরকার।