চুরি যাওয়া অর্থ কীভাবে তাদের সম্পত্তি?

আবুল মাল আবদুল মুহিত
আবুল মাল আবদুল মুহিত

চুরি যাওয়া অর্থ কীভাবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সম্পত্তি হতে পারে, সাংবাদিকদের কাছেই প্রশ্নটি করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ আমাদের। আমরা অবশ্যই তা ফেরত পাব।’
সচিবালয়ে গতকাল রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বাধীন একটি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আরসিবিসির মাধ্যমেই বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ ক্যাসিনোতে গেছে। কাজেই এই অর্থ আরসিবিসি কীভাবে দাবি করে? চুরি যাওয়া অর্থ কীভাবে তাদের সম্পত্তি হতে পারে, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।’
ফিলিপাইন সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার আনিসুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি দেশে ফিরে আসে। দলের সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান।
ফিলিপাইন থেকে তাঁরা কী করে এলেন, তা জানাতেই দলের সব সদস্যকে নিয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি করেন আইনমন্ত্রী।
ফিলিপাইন সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশটির অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিনগুইজের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশের তদন্ত প্রতিবেদনকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে চান বলে জানান। প্রতিবেদনটি চেয়েও বসেন ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী। এ নিয়ে রয়টার্স গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমাদের নিজেদের বিষয়। এটি কাউকে দেওয়া হবে না।’
প্রতিনিধিদলটি রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে পারস্পরিক আইনি সহায়তার (মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স) আওতায় ফিলিপাইন সরকারের সহায়তা চেয়েছে বলে জানান মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। দেড় কোটি ডলার আগেই পাওয়া গেছে। আরও ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জব্দ করা আছে। ওই অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। কবে পাওয়া যাবে এখনো বলা যাচ্ছে না। ফেরত পেতে অবশ্য ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশের এখন করণীয় কী, জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘ফিলিপাইন সরকার দুটি মামলা করেছে। আমাদের এখন করণীয় হচ্ছে দেশটির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা।’