জুলাইয়ে ৩৪৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ থেকে ৩৪৭ কোটি ডলারের বা ২৯ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাইয়ে ৩৯১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাদের তথ্যানুযায়ী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ছাড়া শীর্ষ সব খাতের রপ্তানি কমে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

অর্থবছরের প্রথম মাসে রপ্তানি কমে গেলেও বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। করোনার মধ্যেও গত বছর ভালো প্রবৃদ্ধি হওয়ায় চলতি অর্থবছরের জন্য পণ্য রপ্তানি আয়ে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইপিবির তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ২৮৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাইয়ে ৩২৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহ কারখানা বন্ধ ছিল। উৎপাদন হয়নি। পুঞ্জীভূত চাহিদার কারণে পরবর্তী মাসগুলোতে রপ্তানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়েছিল। গত জুলাইয়েও ঈদ ও চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে রপ্তানি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরেও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটের কারণে পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা ধীর গতি আছে। অর্থাৎ পণ্য রপ্তানিতে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা সময় বেশি লাগছে।

ইপিবির তথ্যানুসারে, গত জুলাইয়ে ৯ কোটি ৮১ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। আবার ৯ কোটি ২৩ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এই পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া ৯ কোটি ৫ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি বেড়েছে দশমিক ৬৪ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম মাসে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের প্রকৌশল পণ্য, দেড় কোটি ডলারের ওষুধ ও ১ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।