করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন খাত। সামনে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। বড় এই উৎসব ঘিরে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকায় তিন দিনের পর্যটন মেলায় অংশ নিয়েছে ৮০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ভ্রমণ প্যাকেজে মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
দেশের পর্যটনশিল্প খাতের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বুধবার দশম মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম মেলা (বিটিটিএফ) শুরু হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
মেলায় অংশ নেওয়া অভিযাত্রিক নামে দেশীয় ট্রাভেল এজেন্সির সহ-উদ্যোক্তা নাদিম সরকার বললেন, ‘আমরা দেশীয় পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। দেশের সব পর্যটন এলাকাতেই কাজ আছে আমাদের। আশা করছি এবারের মেলার স্থানীয় উদ্যোক্তা ও পর্যটকদের মধ্যে সেতুবন্ধের কাজটি করতে পারব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, করোনার কারণে বৈশ্বিক পর্যটন খাত ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এই মেলার মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ তৈরি করে দেবে। তিনি বলেন, দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ২৭টি নীতিমালা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী মিয়া, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের এ দেশীয় ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় প্রায় ৮০টি স্টলে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল কোম্পানি, এজেন্ট, হোটেল, রিসোর্ট ও পরিবহন কোম্পানি অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা শেষ হবে শুক্রবার।