তেলের বাড়তি দাম জনগণকেও বহন করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের (ডিজেল ও কেরোসিন) বাড়তি দামের অংশ জনগণকেও বহন করতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পুরোপুরি যৌক্তিক। এতে জনগণের ওপর চাপ পড়বে। তবে সরকারের দিক থেকে চেষ্টা থাকবে যে পরিমাণ দাম বাড়বে, তা যেন ভোক্তারা সহ্য করতে পারেন।

গতকাল বুধবার ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম যখন আন্তর্জাতিক বাজারে কম ছিল, সে সুবিধা কি আমরা পাইনি? এখন দাম বেড়েছে। আর আমরা তেল উৎপাদন করি না। আমরা ভোক্তা।’ অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব আছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার কোত্থেকে টাকা পাবে? রাজস্ব অর্জন করেই সরকারকে কাজ করতে হয়। রাজস্ব জোগান দিতে হয়। এ জোগান দিতে না পারলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে না। পিছিয়ে যেতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার টাকা নিয়ে কী করবে? এই যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো আছে, এগুলো তো সরকার টাকা ছাপিয়ে চালাচ্ছে না। সরকারকে টাকা আয় করে চালাতে হয়। সরকার যতটুকু পারে বহন করে, সামান্য যেটা না হলেই নয়, সেটাই দেওয়া হয় ভোক্তার ওপর।’

এদিকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) ভিত্তিতে শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্প হওয়ার যে কথা ছিল, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তা বাতিল হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী জানান, আগে যে বাস্তবতার ভিত্তিতে এটা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা আর নেই।

রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অবশ্য পিপিপি ভিত্তিতেই হবে। প্রকল্পে বিনিয়োগকারী হিসেবে যৌথভাবে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে নিয়োগের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন পায়।

এদিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকার আটটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্প, খুলনা পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন পরামর্শক নিয়োগ, ৩০১ কোটি টাকা ব্যয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম কেনা, ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।