পোশাক রপ্তানিতে গতি

করোনার দুঃসময় থেকে বের হচ্ছে পোশাক খাত। বিদায়ী ২০২০–২১ অর্থবছরের শেষ চার মাসে সেই আভাস মিলেছে। তবে গত জুলাইয়ে রপ্তানি খানিকটা ধাক্কা খায়। পরের মাসেই অবশ্য আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে শীর্ষ রপ্তানি আয়ের এই খাত।

চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ২৭৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে ২৪৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিলেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা।

রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে গত মাসে ৩৩৮ কোটি ডলারের বা ২৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। গত আগস্টে ২৯৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘গত জুলাইয়ে ঈদ ও লকডাউনের কারণে অনেক ক্রয়াদেশের পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ সম্ভব হয়নি। সে জন্য গত মাসে রপ্তানি বেড়েছে। তবে আমাদের আশা, সামনের মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধি থাকবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে রপ্তানি আরও বাড়বে।’

রপ্তানিতে মাস হিসেবে আগস্ট ভালো করলেও সামগ্রিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় কিছুটা কমেছে। এই সময়ে ৬৮৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৩১ শতাংশ কম। মূলত গত জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ১১ শতাংশ কমে যাওয়ায় আগস্ট শেষেও সেই প্রভাব রয়ে গেছে।

মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ পোশাক থেকে এসেছে। আগস্টে রপ্তানি হওয়া ২৭৫ কোটি ডলারের পোশাকের মধ্যে ৫৮ শতাংশ বা ১৬০ কোটি ডলার এসেছে নিট পোশাক থেকে, আর নিটের রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। তার বিপরীতে ওভেন পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিট পোশাক রপ্তানিতে ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত। সামনের মাসগুলোতে রপ্তানি আয় ২০-২৫ শতাংশ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। ইউরোপ-আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতারাও প্রচুর ক্রয়াদেশ দিচ্ছে।’