প্রতিযোগিতায় টিকতে কমাতে হবে পণ্যের উৎপাদন খরচ

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ অনেক সুযোগ-সুবিধা হারাবে। ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করতে হবে।

হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্স অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) উদ্যোগে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শিরোনামের ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যসচিব শরিফা খান। ওয়েবিনারে আইসিএবির সভাপতি মাহমুদ উল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন। আইসিএবির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে নতুন কিছু বাস্তবতা আসবে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে কিছু সুবিধা হারাতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অধীন শুল্কমুক্ত সুবিধা হারালে আমাদের রপ্তানি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। বড় আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক এবং ঋণের দায়বদ্ধতা বাড়বে।’

এম এ মান্নান আরও বলেন, দেশে একটি যথাযথ ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করা দরকার। বাণিজ্যের সামগ্রিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে সরকারকে আরও বেশি করে বিদেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।

আইসিএবির সভাপতি মাহমুদ উল হাসান বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এলডিসি–পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার।

এ ছাড়া সভায় বক্তারা বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য বেশি করে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একই সঙ্গে এপিআই পার্ক স্থাপন করাও জরুরি। এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে দেশের বাস্তব উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির স্বীকৃতি মিলবে। যদিও এর ফলে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।