বছরটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানো ও বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার
করোনার ধাক্কা কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা–বাণিজ্য। চলতি বছর ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি যেমন হয়েছে, তেমনি কাঁচমালের মূল্যবৃদ্ধি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছে। আবার নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অমিক্রন। বছরটি কেমন গেল, তা নিয়ে শিল্প ও ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছয়জনের অভিমত ছাপা হলো আজ। কথা বলেছেন মাসুদ মিলাদ
উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। কখনো ঢেউ মোকাবিলা করে, কখনোবা ঢেউয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যেতে হয়। ফলে মহামারির শুরুতে ধাক্কা দিলেও এখন সামনে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা আমার কাছে নেশার মতো। শিল্পকারখানা হলে কর্মসংস্থান হবে। দেশের সমৃদ্ধি হবে।
নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা আমার কাছে নেশার মতো। শিল্পকারখানা হলে কর্মসংস্থান হবে। দেশের সমৃদ্ধি হবে। করোনার আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৯টি কারখানা চালু করেছি আমরা। এ বছর আমাদের পাঁচটি শিল্পকারখানা চালু হওয়ার কথা ছিল। করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরও শিল্পকারখানা চালু করা যায়নি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তবে কারখানা চালুর জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আসতে না পারায় এক বছর পিছিয়ে পড়েছি। আমরা আশা করছি, নতুন বছরে পাঁচটি শিল্পকারখানা চালু হবে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
যেকোনো দুর্যোগের সময় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়। করোনা মহামারির সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে আমি দেখলাম, বিনিয়োগের বড় সুযোগ আছে সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে। তখন জাহাজের দাম ছিল কম। আমরা চারটি নতুন জাহাজ নির্মাণের ক্রয়াদেশ দিয়েছি। এখন যদি জাহাজ বানানোর ক্রয়াদেশ দেওয়া হতো, তাহলে এই চার জাহাজে কয়েক শ কোটি টাকা বেশি লাগত। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে জাহাজ কেনায় আমরা বড় সাশ্রয় করতে পেরেছি। অনেক উদ্যোক্তা এ সময় সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ করেছে।
মেঘনা গ্রুপের কারখানার সংখ্যা এখন ৪৮। সেখানে সরাসরি কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৫ হাজার মানুষের। পরোক্ষভাবে এই সংখ্যা লক্ষাধিক হবে। আগামী বছর পাঁচটি নতুন কারখানা চালু হলে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে। মহামারির মধ্যেও আমরা থেমে থাকতে চাই না। এগিয়ে যেতে চাই।
মোস্তফা কামাল
চেয়ারম্যান, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)