মন্দার আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত এপ্রিল মাসে দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। বিশেষ করে দেশটির প্রধান তিন অর্থনৈতিক খাত—পরিষেবা, উৎপাদন ও নির্মাণে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সার্বিকভাবে জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান–এর।

ওএনএস জানায়, যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাত জিডিপির প্রবৃদ্ধি নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখে। কিন্তু করোনার প্রভাব ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে গত এপ্রিল মাসে দেশটির পরিষেবাগুলো দশমিক ৩ শতাংশ কমে যায়। পরিষেবার পাশাপাশি দেশটির উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে দশমিক ৬ শতাংশ। এ কারণে দেশটিতে পণ্যমূল্য বেড়েছে ও সরবরাহব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের নির্মাণ খাতও সংকুচিত হয়েছে। এপ্রিলে দেশটির নির্মাণ খাত সংকুচিত হয়েছে দশমিক ৪ শতাংশ।

অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের প্রধান তিনটি অর্থনৈতিক খাতেই উৎপাদন কমেছে। ফলে জিডিপির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে এ ধরনের অবনমন ঘটেছে বলে জানায় ওএনএস।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির এমন সংকোচনকে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পরিবেশসচিব জর্জ ইউস্টিস। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অন্যান্য চাপের কারণে অর্থনীতিতে এমন প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ইউস্টিস বলেন, ‘জিডিপি সংকোচনের এমন পরিসংখ্যান আসলেই হতাশাজনক। করোনা মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের জন্য আরও বেশ কিছু বৈশ্বিক চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বড় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে।