যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ১৭ বছরে সর্বোচ্চ

যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ১৭ বছরে সর্বোচ্চ  যুক্তরাজ্যে খাদ্য ও জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া, তাই মূল্যস্ফীতি এখন রেকর্ড উচ্চতায়। এপ্রিল মাসে বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে সেখানে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে পরিবারগুলো এখন ঋণের দিকে বেশি ছুটছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে গত এপ্রিল মাসে ক্রেডিট কার্ডে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।  বিশ্লেষকদের মতে, যা মন্দার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলছে। খবর গার্ডিয়ানের।  

গত এপ্রিল মাসে ক্রেডিট কার্ড ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ১১ দশমিক ৬ শতাংশে ওঠে, যা ২০০৫ সালের নভেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। একই সময়ে সকল প্রকার ভোক্তা ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। মার্চ মাসে এর হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যা মহামারির আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় দ্রুত বেড়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এই তথ্যে একটি বিভক্ত জাতির চিত্র দেকা যায়, যেখানে একদিকে হাজারো মানুষ খাবার কেনার জন্য টাকা ধার করছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ তাদের ক্রেডিট কার্ড সুবিধা ব্যবহার করে বিলাসবহূল জীবনযাপন করছে। এক দাতব্য সংস্থা বলছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভোক্তা ঋণের এই তথ্য আর্থিক ব্যবস্থার ওপর চাপ বৃদ্ধির অশুভ সংকেত। খাদ্য ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ঋণ সুবিধা নেওয়া অবশ্যই আর্থিক সংকটের লক্ষণ।

যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট রেফারেন্স ফার্ম ইক্যুইফ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী জয়দীপ নাইর বলেন, 'দাম বাড়ছে, সুদের হার বাড়ছে এবং এ বছরের যে কোনো সময় মন্দা হবে বলে মনে হচ্ছে। সরকার ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জীবনযাত্রার ব্যয়জনিত সংকটের প্রভাব কমাতে কাজ করছে। কিন্তু ঘোষিত পদক্ষেপগুলো কেবল ঋণ প্রবাহ সহজ করবে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি অধিকাংশ মানুষকে তাদের বিল পরিশোধের জন্য এক প্রকার যুদ্ধ করতে হচ্ছে।'

এই সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক তথ্যমতে, পাস্তা, রুটি ও নুডলসেরমতো কিছু কম দামি মুদি পণ্যের দাম সাধারণ মূল্যস্ফীতির তুলনায় দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ দরিদ্র পরিবার দুর্দশায় পতিত হয়েছে।