৫০% ছাড়ে ইয়েলোতে উপচে পড়া ভিড়

ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইয়েলো সব ধরনের পোশাকপণ্যের ওপর আজ বৃহস্পতিবার ৫০ শতাংশ মূল্যছাড় ঘোষণা করেছে। এই সুযোগ নিতে রাজধানীতে ইয়েলোর শোরুমগুলোয় তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ যেন উপচে পড়েছেন। ভিড় এত বেশি ছিল যে একজন ক্রেতাকে পোশাকের ক্রয়মূল্য পরিশোধের জন্য ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকার বনানী ও গুলশানের দুটি শোরুমে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এর মধ্যে বেশি ভিড় দেখা গেছে গুলশানের শোরুমে।

আজ দুপুরে ইয়েলোর বনানীর শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিস্থিতিতেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। বিপুলসংখ্যক ক্রেতাই মাস্ক পরেননি। ভিড়ের মধ্যেও নতুন ক্রেতাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে ছাড় উপলক্ষে ইয়েলো বিক্রয়কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারের সংখ্যা না বাড়ানোয় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে ভিড় আরও বেড়েছে।

বেলা দুইটার দিকে ইয়েলোর গুলশান আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, পার্কিংয়ে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মূল সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়েছে। আর শোরুমের ভেতরে দোতলায় উপচে পড়া ভিড়। তিনটার দিকে ক্যাশ কাউন্টারের লাইনে কমপক্ষে ৩০০ নারী-পুরুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই শোরুমেও ক্যাশ কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি।

শাহনাজ পারভিন নামের এক ক্রেতা কেনাকাটা করে তিনটার দিকে দুই হাত ভরে পোশাকের প্যাকেট নিয়ে যখন বের হচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। কখন এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ক্যাশ কাউন্টারের লাইনে অপেক্ষা করার পর বিল পরিশোধ করতে পেরেছি। সামনে ঈদ আছে, তাই ছাড় পেয়ে এখনই কেনাকাটা করে ফেললাম।’
ইয়েলোর কর্মীরা জানান, প্রতিবছরই ছাড় দেওয়া হয়। মূলত পুরোনো পণ্যের স্টক (মজুত) শেষ করার জন্য ছাড় দেওয়া হয়। তবে নতুন পণ্যেও ছাড় থাকে। আজ বৃহস্পতিবার শুধু কার্ডধারী গ্রাহকদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়। পরে সব গ্রাহকই ছাড় পাবেন।