চলতি বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকাটা সরকারের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়েছে। এতে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। অবশ্য পোশাক রপ্তানিতে পরিমাণের দিক থেকে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, দামের ক্ষেত্রে ততটা হয়নি, বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে। রপ্তানি আয় যতটুকু বেড়েছে, তার পেছনে বড় কারণ ছিল কাঁচামালের উচ্চমূল্য। সেই হিসাবে রপ্তানিতে আয়গত সুবিধা খুব বেশি বাড়েনি। আবার প্রবৃদ্ধি বেশি হলেও বড় উদ্যোক্তারাই বেশি সুবিধা পেয়েছেন। ছোট-মাঝারি কারখানাগুলো সেভাবে সুযোগটি নিতে পারেনি। কারণ, তাদের সক্ষমতা কম।
এদিকে করোনাকালে শ্রম অধিকার বিষয়ে পোশাক খাত উতরে গেছে, তা নয়। চলতি বছরও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে। কারখানায় শ্রমিক হয়রানির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এই জায়গায় কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
চলতি বছর পোশাক খাতের অনেক উদ্যোক্তা নতুন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও নতুন ধরনের পোশাকের ক্রয়াদেশ পেয়েছেন। ভবিষ্যতে সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগও করতে হবে। যাতে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যের পোশাক উৎপাদক দেশ হতে পারে।
পোশাকশিল্পে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগ আনাটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে কৃত্রিম তন্তুর সুতা ও কাপড় উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উদ্যোক্তারা যেন এখানে উৎসাহ দেখান, সে জন্য বাজেটে নীতিসহায়তা দেওয়া যেতে পারে।