ঋণ শোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় পেলেন গ্রাহকেরা

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরাও ঋণের কিস্তি পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি হবেন না। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ব্যাংকের গ্রাহকদেরও একই ধরনের ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। রোববার তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ যাঁরা চলতি বছরে ঋণ শোধ করবেন না, তাঁদের আগামী বছর থেকে কিস্তির সংখ্যা ও পরিমাণ নতুন করে নির্ধারণ করা যাবে। যত কিস্তি বকেয়া থাকবে, ঠিক ততটা বাড়ানো যাবে। ঋণের ওপর সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।

করোনায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে যাঁরা ঋণ শোধ করতে পারছেন না, তাঁদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ব্যাংকের গ্রাহকেরাও এই সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম

এর আগে করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতির কথা বিবেচনা করে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর করা হয়। এরপর আরও বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে যাঁরা ঋণ শোধ করতে পারছেন না, তাঁদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ব্যাংকের গ্রাহকেরাও এই সুযোগ পেয়েছেন।

বর্তমানে দেশে ৩৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত জুন শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।