এসএমই বন্ড চালুর প্রস্তাব ঢাকা চেম্বারের

দেশে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে অর্থায়নের প্রক্রিয়া সহজ করতে এসএমই বন্ড চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এই প্রস্তাবের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে সংগঠনটি বলছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে সিএমএসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত করার যে লক্ষ্য রয়েছে, সেটি অর্জন করতে চাইলে একটি বিশেষ ব্যাংক বা এসএমই বন্ড চালুর কোনো বিকল্প নেই।

ডিসিসিআই বলছে, মোট কর্মসংস্থানের ৩৬ শতাংশ হয়েছে সিএমএসএমই খাতে। দেশজুড়ে এখন ৭৮ লাখ কুটির ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব দেন সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রহমান। তিনি ১১টি অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করে সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, পরিচালক শাহিদ হোসেন, গোলাম জিলানি, হোসেন এ শিকদার, নাসিরউদ্দিন এ ফেরদৌস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজওয়ান রহমান বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের জন্য সরকারের ঘোষিত ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ অর্থছাড় হয়েছে। প্রথম দিকে প্রণোদনার টাকা ছাড়ে বেশ জটিলতা তৈরি হয়। আশা করছি, সামনের দিনে এই পথ মসৃণ হবে। তিনি বলেন, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেমনটা আলিবাবা ও আমাজন করছে।’ এ ছাড়া তিনি প্রতিবছর ৫-৭ শতাংশ হারে করপোরেট কর কমানোর দাবি জানান।

ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, দেশের মোট রপ্তানির ৮৩ শতাংশই পোশাক খাতের। পোশাক খাতের ওপর এই একক নির্ভরশীলতা কমিয়ে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে। একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের বাইরে অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও বাণিজ্য বৃদ্ধির তাগিদ দেন তিনি।