পাঁচ পরিচালক নিয়োগ দিলেন আদালত

বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) পরিচালনা পর্ষদে নতুন পাঁচজন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ জুন এই আদেশ দেন। সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ আদেশটি প্রকাশিত হয়।

আইনজীবীদের বক্তব্য ও নথি পর্যালোচনা করে আদেশে বলা হয়, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান) ছাড়া আইএলএফএসএলের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সব সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে এবং তাঁদের কেউই এখনো আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি। তাঁরা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। পর্ষদ সভায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত নন তাঁরা।

এ অবস্থায় আদালত নতুন পাঁচজন পরিচালক নিয়োগ দেন। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিফতাউল করিম, ব্যারিস্টার মো. আশরাফ আলী ও আর্থিক বিশ্লেষক এনামুল হাসান।

আইনজীবীদের তথ্যমতে, আইএলএফএসএলে জমা রাখা অর্থ ফেরত চেয়ে আমানতকারীদের কয়েকজনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইবরাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন। সেদিন হাইকোর্ট আইএলএফএসএল থেকে ঋণ সুবিধাভোগী প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন চেয়ারম্যান, এমডি, পরিচালকসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও সব সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন।

হাইকোর্টের আদেশের পর গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ইবরাহিম খালেদ। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর হাইকোর্ট গত ১৯ মার্চ আইএলএফএসএলের চেয়ারম্যান হিসেবে এন আই খানকে নিয়োগ দেন।

গতকাল দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শুনানিতে হাইকোর্ট কয়েকজন ব্যক্তির নাম দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার অনুসন্ধান বা তদন্ত চলছে কি না, তা জানতে চান। সে অনুসারে দুদক প্রতিবেদন দাখিল করে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দুদকের ১৫টি মামলা আছে। এর মধ্যে ১১ জন কারাগারে আছেন। তবে যাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক, দুদক তাঁদের খুঁজছে। পলাতক অবস্থায় কেউ কোনো কোম্পানির বোর্ড সভায় অংশ নিতে পারেন না।