মোবাইল ফোনে বেশি সুদের আমানতের বার্তা পাচ্ছেন?

মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) দিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহের কাজে যুক্ত থাকায় তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে (লিজিং কোম্পানি) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কোম্পানি তিনটি হচ্ছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ রোববার কোম্পানিগুলোকে আলাদা চিঠি দিয়ে সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চেয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা দিয়ে উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ এ কাজ না করার জন্য তিন বছর আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নির্দেশনা দিয়েছিল। ওই নির্দেশনা লঙ্ঘনের দায়ে কেন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে।

উচ্চ সুদহারে আমানত সংগ্রহ না করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে জারি করা ২০১৮ সালের ২৬ জুনের নির্দেশনাটি ছিল এ রকম—কেন্দ্রীয় ব্যাংক লক্ষ্য করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ বা লিজ বা বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফার হার এবং অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ফি বা চার্জ বা কমিশনের পূর্ণ তালিকা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোর দর্শনীয় স্থানে প্রদর্শন করছে। এগুলো নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদহারে আমানত সংগ্রহে পেশাজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গ্রাহকের কাছে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। এটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ‘কুইক সঞ্চয়’ নামে একটি আমানত সংগ্রহ প্রকল্প রয়েছে, যার স্লোগানটি হচ্ছে ‘৫৪ মাসে মুনাফা তিন গুণ, আনন্দ বহুগুণ’। প্রাইম ফাইন্যান্সের রয়েছে ‘সঞ্চয় প্লাস’ নামের একটি আমানত সংগ্রহ প্রকল্প। এতে প্রতি মাসে প্রতি লাখে ১ হাজার ২২ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। ফার্স্ট ফাইন্যান্সও মানুষের মোবাইলে একই উদ্দেশ্যে খুদে বার্তা দিয়ে আসছে।

এর আগে এফএএস ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। এই কোম্পানি বছরে ১২ শতাংশ এবং ছয় মাসে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ সুদের প্রলোভন দেখিয়ে আমানত সংগ্রহে খুদে বার্তা দিয়ে আসছিল বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসে।