সম্প্রতি প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের উদ্দেশ্যে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ওয়ালটন গ্রুপের দুটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এতে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে দেশ এগিয়ে যাবে বলে আশা করছে ওয়ালটন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বুয়েটকে গবেষণা কর্মের প্রকল্প হস্তান্তর করা হয়। সেই সঙ্গে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ প্রদান করা হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই চুক্তির ফলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাবেন, যার মধ্যে আছে গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস, কারখানায় ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং, পরামর্শক দলের কারখানা পরিদর্শন, কর্মী উন্নয়ন ইত্যাদি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রত্যাশা, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। শিল্পোন্নয়নে দেশের মেধা কাজে লাগবে। দেশের মেধা পাচার বন্ধ হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শিল্প ও বিদ্যায়তনের সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশের চারটি শীর্ষ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে ওয়ালটন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
গত মঙ্গলবার বিকেলে বুয়েটের কাউন্সিল ভবনের কনফারেন্স হলে এই সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। সে সময় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সঙ্গে বুয়েটের ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি হয়। বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার ও ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম চুক্তিতে সই করেন।
ভিন্ন আরেকটি চুক্তিতে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (রাইজ) পরিচালক মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্টিজের গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণানন্দ বৈরাগী প্রমুখ।