টিসিবির পরিবেশক সদাই জেনারেল স্টোরের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম। গতকাল সোমবার টিসিবির পণ্য নিয়ে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় যখন তাঁর ট্রাক পৌঁছায়, তখন দুপুর ১২টা। ট্রাক যাওয়া মাত্রই পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন ক্রেতারা। বেলা আড়াইটার মধ্যেই শহিদুলের ট্রাকে থাকা ৮০০ কেজি চিনি, ৬০০ কেজি মসুর ডাল আর ৫ লিটারের ২৪০ বোতল সয়াবিন তেল সব বিক্রি হয়ে যায়।
মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পণ্য নিয়ে রাস্তায় পৌঁছাতে আর মাপতে যতটুকু দেরি হয়েছে। বিক্রি হয়ে গেছে তার চেয়েও দ্রুত।’ তিনি বলেন, ‘এখন আর প্যাকেজ করে বিক্রি করতে হচ্ছে না। মানুষ যা পাচ্ছে, সেটাই কিনছে।’
করোনাকালে সীমিত ও মধ্যম আয়ের মানুষের আয় কমে গেছে। তাই বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে ভিড় বেড়েছে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে। পণ্য নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হচ্ছে বিক্রি।
গতকাল রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় টিসিবির ৬০ জন পরিবেশক পণ্য বিক্রি করেছেন। এর মধ্যে ১২ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের সব পণ্যের বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গতকাল থেকে ১০০ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল এবং ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে। আর বাজারে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৯ টাকা।
আর চিনি ও মোটা দানার মসুর ডাল বাজারে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৭৫ টাকায়।
ফার্মগেটের খামারবাড়িতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করে পরিবেশক মেসার্স হেদায়েত এন্টারপ্রাইজ। দুপুর ১২টায় শুরু করে তাঁর পণ্য বিকেল ৩টার মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়।