কুড়িগ্রাম জেলায় দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে গতি নেই। ফলে ব্যাংকগুলোয় অলস তারল্য বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা কৃষিঋণ কমিটির মাসিক সভায় এ কথা বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলায় ব্যবসারত ১৮টি ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে জানানো হয়, কয়েকটি ব্যাংক এই জেলায় একেবারেই ঋণ বিতরণ করেনি।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় জানানো হয়, কুড়িগ্রাম জেলার চাষিদের জন্য মসলাজাতীয় পণ্য উৎপাদনে ব্যাংকগুলোর বরাদ্দ ছিল ১৯৭ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংক এক লাখ টাকা বিতরণ করলেও বাকি ১৭টি ব্যাংক তা করেনি।
কৃষিঋণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জিলুফা সুলতানা জানান, ঋণ পাওয়ার বিষয়টি কৃষকদের জানাতে জেলার ৭৩টি ইউনিয়ন, তহশিল অফিস ও হাটবাজারে প্রচারমূলক পোস্টার প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে সব ব্যাংককে কৃষিঋণ বিতরণে আরও গতিশীল হতে হবে।
সভায় অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বায়েজিদ মো. আশরাফুজ্জামান জানান, তাঁরা ১ কোটি ৫২ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করেছেন। বিতরণের হার ১৯ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক নকুল কুমার, ন্যাশনাল ব্যাংকের কুড়িগ্রাম শাখার ম্যানেজার ফুলজার হোসেন, রূপালী ব্যাংকেরম্যানেজার মর্তুজা সাইফুল্লাহ প্রমুখ।