টোকিওতে ৩ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়
বিশ্বের দেশে দেশ যেন দুরবস্থা চলছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সরকার আমদানিজনিত ব্যয় কমাতে দেশের নাগরিকদের চা পান হ্রাসের আহ্বান জানায়। আর এবার পাকিস্তান নয়, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান নাগরিকদের আজ সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশেও বর্তমানে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে রাত ৮ টার পর দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে জাপানের অবস্থা নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের মতো নয়। তারা বলেছে, বিশ্বব্যাপী প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। জাপানেও তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। সে জন্য নাগরিকদের প্রতি তাদের আহ্বান, সোমবার বিকেলে তাঁরা যেন বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হন। খবর বিবিসির
জাপান সরকার আরও বলেছে, সোমবার বিকেলের পর অপ্রয়োজনীয় বাতি যেন নিভিয়ে রাখা হয়, তবে যা গরম পড়েছে, তাতে মানুষ হিটস্ট্রোক এড়াতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করতে পারে। জাপানের স্থানীয় সময় বেলা তিনটা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য অপ্রয়োজনীয় বাতি নিভিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও হাইড্রেশন যথাযথভাবে ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে আজই প্রথম নয়, দাবদাহ বৃদ্ধির কারণে বেশ কদিন ধরেই জাপান সরকার নাগরিকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
গত সপ্তাহের শেষ দিকে জাপানের রাজধানী টোকিওর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যায়। আর টোকিওর উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ইসায়েকির তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি—জাপানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই বাস্তবতায় স্বাভাবিকভাবে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে গেছে। চাপের কারণে সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যাবে বলে দেশটির জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আশঙ্কা করছে।
জাপানি টেলিভিশন এনএইচকের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার বিকেল পর্যন্ত টোকিওর ৪৬ জন হিটস্ট্রোকের আশঙ্কায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর ৯৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধি অতিরিক্ত গরমে মারা গেছেন।
এদিকে শুধু জাপান নয়, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনির বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে অপ্রয়োজনীয় বাতি নিভিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়।