তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি করতে হয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কির সঙ্গে মতবিনিময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ছবি: সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরে রাশিয়ায় ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে দেশটি থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য। ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন সমস্যা ও শুল্ক জটিলতা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য চিত্রটি এ রকম। দুই সমস্যা না থাকলে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়ত।

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা চেয়েছেন। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এ জন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন ও কিছু শুল্ক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে। অন্য দেশের মাধ্যমে রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জটিলতাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো সমাধানেরও চেষ্টা চলছে। সমাধান হয়ে গেলে রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্য বেশি রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সরাসরি পণ্য রপ্তানিতে রাশিয়া সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মাস্তিতস্কি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হতে চায়। বাংলাদেশকে রাশিয়া বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আগ্রহী। বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদাও রয়েছে রাশিয়ায়। চলমান বাণিজ্য বাধা দূর হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। রাশিয়া সরকার সমস্যাগুলো দূর করতে আন্তরিক।