স্থানীয় বাজারে দাম কমে আসায় ব্যবসায়ীরা এখন আর কাঁচা মরিচ আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির আবেদন একদমই কমে গেছে। ৮ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিনে ভারত থেকে ১ হাজার ১০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। অথচ এ সময়ে আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ৩২ হাজার ৯১০ টনের। বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
৮ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিনে ভারত থেকে ১ হাজার ১০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। অথচ এ সময়ে আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ৩২ হাজার ৯১০ টনের।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচের খুচরা দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর পাইকারিতে দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ট্রাক থেকে ২৭০ টাকা দরে প্রতি পাল্লা (এক পাল্লায় পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ কেনেন। তাতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়েছে ৫৪ টাকা।
৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ২৫৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বেনাপোল ছাড়া দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি একদমই বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচের চালানের শুল্কায়ন হয়নি। ৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ২৫৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বেনাপোল ছাড়া দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ সময়ে এমনিতেই কাঁচা মরিচের সংকট থাকে। সংকট মোকাবিলায় আমদানির অনুমতি দেওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।মোহাম্মদ ইউসুফ, মহাপরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ উইংয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ১৪ আগস্টের মধ্যেই এক হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। এরপর থেকে আর তেমন কোনো বড় চালান আসেনি। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ৪২ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে শুল্ক যোগ হয় ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। এ ছাড়া বন্দর চার্জসহ অন্যান্য খরচ আরও দুই টাকা। তাতে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে ৭০ টাকা। অথচ বাজারে তার চেয়ে কম দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। তাই অনুমতি নিয়েও এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়নি।
যেভাবেই হোক বাজারে কাঁচা মরিচের দাম এক শ টাকার নিচে নেমে আসায় খুশি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, এ সময়ে এমনিতেই কাঁচা মরিচের সংকট থাকে। সংকট মোকাবিলায় আমদানির অনুমতি দেওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।