রপ্তানির আড়ালে মুদ্রা পাচার

চট্টগ্রাম বন্দর
প্রথম আলো ফাইল ছবি

দেশ থেকে ফিলিপাইনে রপ্তানি হচ্ছে টি–শার্ট ও ট্রাউজার। চট্টগ্রামের কেডিএস ডিপোতে কনটেইনার বোঝাই করাও হয়েছে। বন্দর দিয়ে রপ্তানি হবে, সেই অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। তবে রপ্তানির এমন সুখবরে বাদ সাধেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ চালানে সন্দেহজনক পণ্য আছে, এমন খবরে হঠাৎ কনটেইনার খুলে পণ্য যাচাই-বাছাই শুরু করেন কর্মকর্তারা। সন্দেহজনক কিছু না পেলেও নিরাশ হতে হয়নি কর্মকর্তাদের।
চার চালানের রপ্তানি পণ্যে কর্মকর্তারা সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য বেশি পেয়েছেন। অর্থাৎ রপ্তানি হলেও এই সাড়ে ছয় কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসত না। অর্থনীতির ভাষায় এটি মুদ্রা পাচার হিসেবে পরিচিত।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো রাজধানীর উত্তরার আর এম সোর্সিং বাংলাদেশ। তারা চারটি চালানে ফিলিপাইনে ২৪ হাজার ৩৪৪ টি–শার্ট ও ট্রাউজার রপ্তানি করার কথা জানিয়েছিল। প্রতিটির রপ্তানি মূল্য দেখানো হয় ১ দশমিক ২৩ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২১ টাকা।

পরীক্ষার পর জানা গেল, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২৪ হাজার নয়, টি–শার্ট রপ্তানি করছিল ৫ লাখ ৬৯ হাজার। রপ্তানিকারকদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটির দাম ১ দশমিক ২৩ ইউরো বা ১২১ টাকা ধরা হলেও রপ্তানি মূল্য হওয়ার কথা ৭ লাখ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার মো. সালাহউদ্দিন রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চারটি চালানে রপ্তানিকারকের ঘোষণার বাইরে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার পণ্য বেশি পাওয়া গেছে। এতে মুদ্রা পাচারের চেষ্টা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে মামলা করা হবে।’

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত আরও ১১৩টি চালান রপ্তানি করেছে। এসব চালানেও ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।