সমাজের সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন এমন আইন করছে। এমন আইন না থাকলে সামাজিকমাধ্যম বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই সমাজকে সুরক্ষা দিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু শুধু লক্ষ্য করে সাংবাদিকদের ওপর এই আইনের অপব্যবহার করলে তা সমর্থন করি না।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আজ ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এমন মন্তব্য করেন। এটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নিয়মিত আয়োজন। এই আয়োজনে সালমান এফ রহমান নিজে কিছু বক্তব্য তুলে ধরেন, আবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশাপাশি করোনায় অর্থনীতি, করোনার টিকা আমদানি, টিকা উৎপাদন, স্বাস্থ্য খাত, দেশের শেয়ারবাজার, বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজি এয়ারলাইনস ও বেক্সিমকো সিনথেটিক, ব্যাংক খাত নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
করোনার টিকা আমদানি নিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বেক্সিমকো যখন করোনার টিকা আমদানির চুক্তি করে, তখন ওই টিকা অনুমোদনও পায়নি। প্রধানমন্ত্রী বললেন, অগ্রিম বুকিং দিতে। তাই আমরা টাকা দিয়ে বুকিং করি। যখন আমরা টিকা পাই, তখন কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপেও টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। আগামী বছরের শুরুতে সেরাম থেকে বাকি টিকা পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত সরকার যত টিকা আমদানি করছে, সেরাম থেকে আনা টিকার মূল্য সর্বনিম্ন। ওই দামেই আমরা টিকা পাব।’
টিকা উৎপাদন নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ইনসেপটা চীনের সঙ্গে টিকা উৎপাদনের চুক্তি করেছে। বেক্সিমকো আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করবে। সব টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী বছর বাংলাদেশে করোনার টিকার উৎপাদন শুরু হবে।
ছাপা পত্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, চলতি বছরেই ‘দি ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এটা ছাপা ও অনলাইনে থাকবে, না শুধু অনলাইন চলবে। এই পত্রিকার সঙ্গে আমাদের আবেগ জড়িত। আবার বিভিন্ন পক্ষ এমনকি তথ্যমন্ত্রীও চান না, পত্রিকাটির ছাপা বন্ধ হয়ে যাক। এই পত্রিকা দেশের প্রথম ১৬ পাতার ছাপা রঙিন পত্রিকা। একটা পত্রিকা চালু রাখতে আর্থিক সক্ষমতার দিকটিও দেখতে হয়।
প্রসঙ্গত ইংরেজি দৈনিক ‘দি ইনডিপেনডেন্ট’ বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।