সিটি ও জেলায় পুরস্কার পাচ্ছেন ৫২৫ করদাতা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সব মিলিয়ে ৫২৫ জন করদাতাকে সম্মাননা দেবে।

  • ২০১৬ সাল থেকে জেলা পর্যায়েও সেরা করদাতাদের সম্মাননা দিচ্ছে এনবিআর।

  • করোনার কারণে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান করে করদাতাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অন্যান্য বছরের মতো এবারও জাতীয় পর্যায়ের পর সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে সেরা করদাতাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, দেশের প্রতিটি সিটি করপোরেশন ও জেলা থেকে তিনজন সর্বোচ্চ করদাতা, দুজন দীর্ঘ সময় ধরে কর প্রদানকারী এবং একজন করে নারী ও তরুণ করদাতাকে মনোনীত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫২৫ জন করদাতাকে এবার বিশেষ এই সম্মাননা দেবে এনবিআর। সম্প্রতি তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

অবশ্য কয়েক বছর ধরে এই সম্মাননা দিয়ে আসছে এনবিআর। আজ বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের সেরা করদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। বাকিদের বিভাগীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেবে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলগুলো। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেওয়া করের ওপর ভিত্তি করে তাঁদের সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে পাবনা থেকে স্কয়ার গ্রুপের একই পরিবারের পাঁচজন আছেন। তাঁরা হলেন স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্ত্রী অনিতা চৌধুরী, তাঁর ছেলে তপন চৌধুরী, অঞ্জন চৌধুরী, স্যামুয়েল এস চৌধুরী এবং স্যামুয়েল এস চৌধুরীর ছেলে এরিক এস চৌধুরী।

সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি কর কারা দিলেন, তা দেখা যাক।

সিটি করপোরেশন

সিটি করপোরশেনগুলোর মধ্যে ঢাকায় ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালসের স্বত্বাধিকারী আবদুল মুক্তাদির, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ কামাল, রাজশাহীতে আবদুল আউয়াল, খুলনায় এস এম মুনিরুজ্জামান শাহীন, বরিশালে বলারাম পোদ্দার, সিলেটে এ কে এম আতাউল করিম, কুমিল্লায় সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জে আরিফ আহমেদ, রংপুরে তৌহিদ হোসেন, গাজীপুরে মাহবুবর রহমান ও ময়মনসিংহে মাহবুবুল আলম সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে সম্মাননা পাবেন।

জেলা পর্যায়

সিটি করপোরেশনের বাইরে জেলা পর্যায়েও তিনজন করে সর্বোচ্চ করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের সর্বোচ্চ করদাতারা হলেন ঢাকা জেলায় আসলাম সেরনিয়াবাত, মানিকগঞ্জে মোস্তফা খান, নরসিংদীতে ফায়জুর রহমান ভুইয়া, শরীয়তপুরে রুহুল আমিন মানিক, মাদারীপুরে মীর হাবিবুর রহমান, ফরিদপুরে ফাহাদ খান, রাজবাড়ীতে মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ, গোপালগঞ্জে মুনিরুজ্জামান শরীফ, নারায়ণগঞ্জে মোল্লা মো. মজনু, মুন্সিগঞ্জে নজরুল ইসলাম, গাজীপুরে মনিরউদ্দিন পাঠান, টাঙ্গাইলে পাপন কুমার ভানু, চট্টগ্রামে মো. মহসিন, খাগড়াছড়িতে এম অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, রাঙামাটিতে লোকমান হোসেন তালুকদার, বান্দরবানে মোহাম্মদ আলী, কক্সবাজারে মোহাম্মদ আয়ুব।

শেরপুরে আক্রাম হোসেন, নেত্রকোনায় কামরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জে মুশফিকুর রহমান, জামালপুরে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, ময়মনসিংহে মাহবুব রেজা করিম, নোয়াখালীতে নুরুল আমিন, লক্ষ্মীপুরে রিয়াসাত হোসেন, ফেনীতে সেলিম উল্লাহ, চাঁদপুরে ফারুক আহমেদ আখন, কুমিল্লায় কামরুজ্জামান ভুঁইয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এরফান আলী, নওগাঁয় হারুনুর রশীদ, নাটোরে মীর আমিরুল ইসলাম, পাবনায় তপন চৌধুরী, রাজশাহীতে আবদুস সোবহান, জয়পুরহাটে রফিকুল আলম, গাইবান্ধায় আবদুল আজিজ হক্কানী, সিরাজগঞ্জে শামীমুর রহমান, বগুড়ায় অশোক রায়, হবিগঞ্জে মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জে দিলশাদ বেগম চৌধুরী, মৌলভীবাজারে মুহিবুর রহমান, সিলেটে আবুল কালাম।

অন্য জেলাগুলোর মধ্যে মেহেরপুরে অজয় সুরেকা, ঝিনাইদহে মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়ায় পারভেজ রহমান, নড়াইলে এম এম রেজাউল আলম, বাগেরহাটে শেখ আসলাম আলী, সাতক্ষীরায় আবু হাসান, মাগুরায় মেহেদী হাসান, চুয়াডাঙ্গায় সাইফুন্নাহার আক্তার শাম্মী, যশোরে আবু নাসের সরকার, খুলনায় জিয়াউল হাসান, পঞ্চগড়ে আবদুল হান্নান শেখ, ঠাকুরগাঁওয়ে এ এইচ এম সাদেকুল ইসলাম, কুড়িগ্রামে বেলাল হোসেন, লালমনিরহাটে আবদুল আজিজ, দিনাজপুরে শামীম কবির, রংপুরে জাহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালীতে স্নেহাংশু সরকার, বরগুনায় খলিলুর রহমান, পিরোজপুরে মিরাজুল ইসলাম, ভোলায় মো. রাশেদুজ্জামান, ঝালকাঠিতে রফিকুল ইসলাম ও বরিশালে আমির হোসেন।

২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও সেরা করদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর কর মেলার সময় সর্বোচ্চ করদাতাদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার করোনার কারণে কর মেলা হচ্ছে না। সে জন্য কর অঞ্চলগুলোতে মেলার পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সেরা করদাতাদের পুরস্কার দেওয়ার জন্য সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।